November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি

ছয়দিন আরাম একদিন কাজ তাতেই ‘কেল্লা ফতে’   

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

সপ্তাহে ছয়দিন কাজ করে মাত্র একদিন বিশ্রামের ফুসরত মেলে অধিকাংশ মানুষের। অথচ তিনি সপ্তাহে মাত্র একদিন কাজ করে যা রোজগার করেন, তা দিয়ে দিব্যি চলে যায় সংসার।

এমনটাই করে দেখাচ্ছেন ইউকের ওয়েলসের রোন্ডা শহরের ক্রিস লুইস। ক্রিসকে সবাই কার্লি বলেই চেনেন তার এলাকায়। চুল কোঁকড়ানো বলে নয়। গত ১৪ বছর ধরে একটি রেস্তোরাঁ চালান তিনি। সেই রেস্তোঁরাটির নাম ‘কার্লিস ডিনারস’।

তিনি রেস্তোরাঁটি খোলেন শুধু রবিবার। ব্যস তাতেই যা কাজ হওয়ার হয়ে যায়। কারণ এই ছোট্ট শহরটিতে এটিই নাকি প্রথম দোকান যেটি রবিবার করে রাতের খাবারের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা চালু করে। এখানে অনেক খাবারের মধ্যে জনপ্রিয় খাবারটি হলো ‘সানডে রোস্ট’।

এখন রেস্তোরাঁটি থেকে লোকে খাবার অর্ডার দিয়ে নিয়েও যায় বাড়িতে। খাবারের প্রতি প্লেটের দামও খুব বেশি নয়। বাচ্চাদের জন্য সাড়ে চারশ টাকার মতো। আর প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাড়ে ছয়শ টাকার মতো।

নিজের পছন্দ মতো ক্রেতারা বেছে নিতে পারেন কী ধরনের মাংস খাবেন। এছাড়াও প্লেটে থাকে শাকসবজি, রোস্টেড আলু, ইয়র্কশায়ার পুডিং ও কার্লিস জনপ্রিয় বাড়িতে তৈরি করা সস। ইচ্ছে করলে বাড়িতে তৈরি মিষ্টি বা কেকও অর্ডার করতে পারেন কোনো ক্রেতা। তার দাম অবশ্য আলাদা।

ক্রিসের রেস্তোরাঁ এত জনপ্রিয় যে তিনি অর্ডারের খাবার তৈরি করে কূল পান না। অন্তত সাড়ে তিনশ থেকে চারশ প্লেট ‘সানডে রোস্ট’ বিক্রি করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি রবিবার করে এতটাই বিক্রি করি যে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো দোকান বন্ধ রাখলেও চলে যায়।

স্কুল পাস করার পর একটি মাছের দোকানে কিছুদিন কাজ করেছিলেন তিনি। তার পরে স্থানীয় একটি পানশালায় শেফের কাজ শুরু করেন। সেখানেই তার রান্নায় হাতে খড়ি। সেখান থেকেই ভবিষ্যতের ব্যবসার চিন্তা মাথায় আসে ক্রিসের। তিনি আরো বলেন, প্রথমে যখন শুধু রবিবার করে রাতের খাবার তৈরি করতাম। দেখতাম ১০ থেকে ১৫ জন খেতে আসত, বাকিরা চাইত বাড়িতে খাবার নিয়ে যেতে। তখনই আমরা হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা শুরু করি।

ছোট একটি দল নিয়ে কাজ করেন ক্রিস। রবিবার দোকান খুললেও, পুরো দল খাবার তৈরি করা শুরু করে দেয় শনিবার থেকেই। কম দাম ও বেশি খাবারের ফর্মুলা দিয়েই তিনি বাজিমাত করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।

তবে ক্রিসমাসের সময় একটু বেশি কাজ করতে হয়। তখন আগে থেকেই অর্ডার নেওয়া হয়ে যায়। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্ডার বন্ধ হয়ে যায়। আর শীতকালে যখন বেশি বরফ পড়ে, তখন একটু অসুবিধা হয়।

Related Posts

Leave a Reply