November 14, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

অফিসে কিছুক্ষন ঘুম মানেই কর্মক্ষমতা দ্বিগুন !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ঘুম থেকে উঠতে না পারার কারণে অনেকেই নিয়মিত বিলম্ব করেই ঠুকেন অফিসে। আবার অনেকেই অফিসে কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়েও নেন। কিন্তু অফিসের বস বা বড় কর্তা এ দুটি বিষকে একদমই ভালোভাবে দেখেন না। অনেকবার বলার পরও ঘুমের এই অভ্যাসের কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে অফিসে ঘুম বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন এক্সুব্রানসির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও লিজ উইলকিস। জেনে নেওয়া যাক এবার সেই পর্যবেক্ষণগুলো।
অফিসে ঘুম নিয়ে বহু অভিজ্ঞতার সঞ্চয় করেছেন লিজ। কলেজের পর একটি বুটিক হাইজে কাজ করতেন তিনি। সেখানে দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নিতে ভুলতেন না। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাজ সেরে সেখান থেকে জিমে কিছুক্ষণ ব্যায়াম। এর পর বাসায় ফিরে রাতে খাওয়া শেষে মাত্র ৬ ঘণ্টা ঘুমের পরই সকালে উঠে যেতেন তিনি।
আবার এই ঘুম তাড়াতে তিনি দুপুরে কফি খাওয়া শুরু করলেন। এতে ঘুমও চলে যায় আবার কাজের এনার্জিও ফিরে আসে। কিন্তু এতে কফির প্রতি নেশা জন্মালো। বেশি খাওয়ার কারণে রাতে ঘুম কম হতে লাগলো। তাই কফি ছাড়াটা জরুরি হয়ে পড়লো।
ক্যাফেইনে আসক্ত হয়ে পড়লে এবং তা ছেড়ে দিলে মাথাব্যথা হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় নাকি বেশি পরিমাণ পানি খেলে দুর্বলতা কেটে শরীর ঝরঝরে হয়। তাই লিজ পানি বেশি পরিমাণে খাওয়া শুরু করলেন। কিন্তু এরও সমস্যা রয়েছে। শোয়ার পর রাতে কয়েকবার ঘুম থেকে উঠতে হয় বাথরুমে যাওয়ার জন্য।
হঠাৎ একদিন দেখা গেলো, লিজের অফিসের সময়টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি দুপুরে আবার একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেন। এ ঘুমের ফলে তার কাজগুলো দারুণভাবে হতে থাকলো।
সাধারণত অফিসে ঘুমানো অলসতার সঙ্গে যুক্ত। এ নিয়ে সবার মধ্যেই লুকোচুরি রয়েছে। কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখবেন, অফিসে কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নিলে কাজের সামর্থ্য বরং বেড়ে যায়।
২০১০ সালে অফিসে কাজের ক্ষেত্রে ক্যাফেইন এবং ঘুমকে নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের ফলে মস্তিষ্কের মোটর সুষ্ঠুভাবে কাজ করে এবং এতে কাজে দক্ষতা বাড়তে থাকে।
ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার বিজ্ঞানী ডেভিড ডিনগেস তার গবেষণায় দেখিয়েছেন, অফিসে সামান্য একটু ঘুম সতর্কতা, স্মৃতিশক্তি, মোটরের কাজ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। অফিসে মাত্র ১০ থেকে ২০ মিনিটের ঝিমুনি কর্মক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
গুগল, প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল এবং দ্য হাফিংটন পোস্ট তাদের অফিসের কর্মীদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে অফিসে ঘুমিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাদের দেখে বর্তমানের বহু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য এ ব্যবস্থা করছেন।
তাই আপনার অফিসে যদি ঘুমিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা না থাকে, তবে দরজাটা ভিড়িয়ে লাইট বন্ধ করে দিয়ে একটু ঝিমিয়ে নিন। ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন যেনো সময়মতো উঠে পড়তে পারেন।
অফিসে কাজের মধ্যে ক্লান্তি চলে আসে এবং সে সময়ের একটুখানি ঘুম আপনাকে দ্বিগুন পরিমাণ কর্মক্ষম করে দিতে পারে নিমিষেই। তবে প্রতিরাতের ৬/৭ ঘণ্টার ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।

Related Posts

Leave a Reply