November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ঘুমটাই যখন আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
কালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুতেই ভুলতে পারেন না কিছু রাতের বিভীষিকা। রাতে ঘুমালেই যে খারাপ স্বপ্ন দেখেন। দুঃস্বপ্ন দেখে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার ভয়ে ঘুমটাই অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আধুনিক জীবনযাপনের কারণে অনেকেই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যার বীজ লুকিয়ে রয়েছে ছোট কারণের মধ্যেই।জানেন কি সেগুলি সম্পর্কে –

ডিজঅর্ডার : উৎকণ্ঠা, অবসাদ, স্লিপ প্যারালিসিস, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার, স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো ডিজঅর্ডারে ভুগলে আমরা দুঃস্বপ্ন দেখি। যদি আপনি দীর্ঘদিন এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকেন এবং নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক আধুনিক থেরাপির সাহায্যে এই সমস্যা সারিয়ে তোলা যায় ।

রাতের খাবার : ছোটবেলায় বাবা, মায়েরা আমাদের তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস করাতেন। বড় হয়ে সেই অভ্যাস আমরা অনেকেই মেনে চলি না। যখনই আমরা খাবার খাই তখনই আমাদের ডায়জেসটিভ সিস্টেম সক্রিয় হয়ে ওঠে। মেটাবলিজম রেট বেড়ে যায়। ঘুমনোর ঠিক আগে খাবার খেলে শরীর ও মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে ওঠে। ফলে টানা ঘুমে সমস্যা হয় যা অনেক সময় দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে ওঠে।

স্ট্রেস : সারাদিনের স্ট্রেস, ক্লান্তি যদি খুব বেড়ে যায় তাহলে ঘুমের সমস্যা হয়। স্ট্রেসের কারণে দুঃস্বপ্ন দেখা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। স্ট্রেস কাটাতে ঘুমানোর আগে হালকা যোগাভ্যাস করলে বা হালকা গরম পানিতে গোসল করলে সমস্যা দূর হবে ।

ওষুধ : অনেক ওষুধ রয়েছে যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমনটা হতে পারে। সাধারণত উচ্চ-রক্তচাপ বা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ থেকে শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ঘুমের সমস্যা হওয়ার প্রবণতা থাকে। যদি এমনটা হয়ে থাকে আপনার ক্ষেত্রে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ বদলান বা মাত্রা কমিয়ে দিতে বলতে পারেন। ধীরে ধীরে শরীর ধাতস্থ হয়ে গেলে সমস্যাও কেটে যাবে।

ঘুমের মান : ভাল ঘুম হলে কখনই দুঃস্বপ্ন দেখবেন না। বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে জোর দিতে হবে ঘুমের মান বাড়ানোর দিকে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমোন। আরামদায়ক বিছানা, অন্ধকার ঘরে ঘুমনো অভ্যাস করুন। ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, নিকোটিনের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। সপ্তাহে ৩-৫ দিন এক্সারসাইজ করতে পারলে ভাল।

Related Posts

Leave a Reply