ঘুমের ওষুধে ঘুমের সাথে এই মারাত্মক ক্ষতিও আসে ..
কলকাতা টাইমস :
ঘুম আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অনেকে বেশি ঘুমতে ভালবাসেন, অনেকে অল্প সময়ের গভীর ঘুমেই সন্তুষ্ট। অনেকে আছেন বিছানায় শুলেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন, কেউ আবার ঘুমতে সময় নেন। কারও ঘুম পাতলা কারও ঘুম গভীর। কিন্তু ঘুমটা প্রাকৃতিক নিয়ম, সবার ক্ষেত্রে সমানভাবেই প্রয়োজন।
দিনে ৭-৮ ঘন্টার টানা ঘুম সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন। তবে সবার ক্ষেত্রে সহজ ঘুমটা হয় না। ঘুম ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হয়। আর ঘুমোর জন্য তাদের ওষুধের প্রয়োজন হয়। ঘুমের ওষুধ মূলত মস্তিষ্কের চাপ হালকা করে আপনাকে ধীরে ধীরে ঘুমতে সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শে এই ধরণের ওষুধ নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু নিয়মমাফিক রোজ ঘুমের ওষুধ খেলে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। কী কী সমস্যা তৈরি হতে পারে আসুন একঝলকে দেখে নেওয়া যাক।
তন্দ্রাচ্ছন্নতা : যদি ভুল সময়ে আপনি ঘুমের ওষুধ খান তাহলে আপনার শরীরে তা প্রভাব ফেলতে পারে। যদি আগের দিন রাতে আপনি ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরেও ভাল ঘুম না হয়, তার প্রভাব পরেরদিন বেলা অবধি থাকতে পারে। কিংবা অনেক রাতে ওষুধ খেলেও পরের দিন সকাল পর্যন্ত তার
ব্যবহারে পরিবর্তন : অনেক সময় ঘুমের ওষুধের নিয়মিত সেবন মানুষের আচার-ব্যবহারে পার্থক্য তৈরি করতে পারে। মুড সুইং, খিটখিটে মেজাজ প্রভৃতি নানারকমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
নির্ভরশীলতা : নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে ওই ধরনের ওষুধে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায়, ফলে একটা সময়ের পর ওষুধ শরীরে কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওষুধের মাত্রা বাড়াতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এমনটা চলতে থাকলে তা সত্যিই শরীরের পক্ষে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে খারাপ করে : দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেতে থাকলে তা শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকেও খারাপ করতে থাকে। শরীরের বর্জ্যও বিনা বাধায় শরীর থেকে বেরতে পারে না। ফলে দীর্ঘমেয়াদে তা শরীরকে অসুস্থই করে।
নেশা : নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে ওষুধের প্রতি একটা আসক্তি তৈরি হয়। ওষুধ ছাড়া ঘুমই হতে চায় না। তাই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কখনওই ঘুমের ওষুধ খাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
মৃত্যু : অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। আবার অনেকসময় অতিরিক্তি ঘুমের ওষুধ খেলে প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে, কোমায় চলে যেতে পারে, স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যেতে পারে।
অবসাদ : ঘুমের ওষুধের কারণে, কারও কারও ক্ষেত্রে, মানসিক রোগের সমস্যা, চণ্ডালে রাগ, হতাশার মতো সমস্যা বাড়তে পারে।