এখন টুপি পরে ঘুমিয়েছেন কি হয়ে গেল….
কলকাতা টাইমস :
মানবদেহের জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালের ঘুমের আমেজই আলাদা। যদিও নানাভাবে ঘুমানোর অভ্যাসে হতে পারে নানারকম সমস্যা। কেউ আলো জ্বেলে ঘুমাতে পছন্দ করেন, আবার কেউ পুরো অন্ধকারে।
কারো ঘুমের জন্য অন্ধকার এতটাই প্রয়োজন যে আই কভার পরে ঘুমাতে হয়।শীতকালে অনেকেরই আবার লেপ-কম্বল দিয়ে মুখ ঢেকে ঘুমানোর অভ্যাস আছে। তেমনি অনেকে টুপি পরেই ঘুমানো পছন্দ করেন শীত থেকে বাঁচতে। শরীরের জন্য কি এটি আদৌ ভালো?
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতেই অনেকে এমন টুপি পরেন যাতে মাথা ও কান ঢাকা থাকে।
ঘুমানোর সময়ও সেই টুপি পরেই ঘুমিয়ে যান। এই অভ্যাস কি ভালো নাকি খারাপ, তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ মানুষই উলের পোশাক ব্যবহার করেন।ঘুমের সময় মাথায় টুপি পরে ঘুমান। এমনকি বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, শরীরে গরম জামাকাপড়ের পাশাপাশি মাথায় উলের টুপি পরিয়ে ঘুম পাড়ান। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়।
রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই জরুরি। তবে ঘুমের জন্য ভালো পরিবেশও প্রয়োজন।
শান্ত পরিবেশে ঘুম ভালো হয়। কিন্তু টুপি পরে ঘুমালে এবং বাচ্চাকেও সেভাবে ঘুম পাড়ালে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অনেক টুপি প্রচণ্ড আটোসাঁটোও হয়। যে কারণে মাথাব্যথাও হতে পারে।
টুপি পরে ঘুমোলে মাথায় ঘাম জমতে পারে। এ কারণে ঘুমে অস্বস্তির পাশাপাশি মাথাব্যথাও হতে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে চুলেরও বড় ক্ষতি হতে পারে।
টুপির কারণে ব্লাড প্রেসারও বাড়তে পারে এবং এটি হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। ভালো ঘুমের জন্য ঘরের তাপমাত্রা ১৮-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রাখা ভালো। অন্ধকার ঘর হলে ঘুমের পরিবেশ উন্নত হয়। তেমনই ঘুমোতে যাওয়ার আগে সিগারেট, কফি কিংবা চা পান না করাই ভালো। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকলে কিংবা কোনো ধোঁয়াশা তৈরি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।