সাবধান : এখুনি জেগে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে ২৮ হাজার বছর ধরে ঘুমানো সিংহ!
অনুমান করা গেছে, শাবকটি একটি শিকারীর দ্বারা নিহত হয়েছিল। কিন্তু তারপরও শাবকটির খুলি, পাঁজর বা টিস্যুর কোনও ক্ষতি হয়নি। তারপরই বিশেষজ্ঞরা তার নরম কোষ এবং অঙ্গগুলি দিয়ে মমি তৈরি করেন।
বিশেষজ্ঞরা সিংহ শাবকটির নাম দেন স্পার্টা। এই স্পার্টা বিশ্বের সেরা সংরক্ষিত বরফযুগের প্রাণীদের মধ্যে একটি। তার পশম কিছুটা নষ্ট হলেও দাঁত এবং চামড়া অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যখন স্পার্টা মারা গিয়েছিল, তখন গুহায় আরও একটি সিংহের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। যার নাম পরবর্তীতে দেওয়া হয়েছে বরিস। গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়, তারা মূলত ভাইবোন ছিল।
সেন্টার ফর প্যালিওজেনেটিক্সের বিবর্তনবাদী জেনেটিক্সের অধ্যাপক লাভ ড্যালেন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, এই দুই সিংহকে সংরক্ষণের কারণে খুব দ্রুত কবর দেওয়া হয়েছিল। তাই হয়তো তারা কাঁদার মধ্যে বা পারমাফ্রস্টের একটি ফাটলে পড়েছিল। এখন পর্যন্ত বরফযুগের যেসব প্রাণীর মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার মধ্যে স্পার্টাকে সবচেয়ে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে বরিসের দেহাবশেষের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
সম্প্রতি রাশিয়ার ফার ইস্ট অঞ্চলে একটি নদীর পারে দুইটি সিংহশাবকের মৃতদেহের সন্ধান পান বিলুপ্ত প্রাণী ম্যামথের দেহাবশেষ খোঁজা ব্যক্তিরা। সাইবেরিয়ান প্রজাতির এই সিংহের বাস ছিল পাহাড়ের গুহায়।
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এ দুই শাবকের বয়সের পার্থক্য ১৫ হাজার বছর। বয়স নির্ধারণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রেডিও কার্বন ডেটিংয়ের তথ্যমতে, বরিস ৪৩ হাজার ৪৪৮ বছর আগে জন্মেছিল।