শরীরের ভিতরে ছোট-বড় ৭৫টি পিন!
কলকাতা টাইমস :
কোটা ও মুম্বাইয়ের চিকিৎসকদের পুরোপুরি মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন বদ্রীলাল মিনা। তাদের প্রথম প্রশ্ন, এই পিনগুলো বদ্রীলালের শরীরে ঢুকল কী করে, কারণ তার খাদ্যনালি বা পেটের কোনও অংশেই কোনও রকম ছিদ্র পাওয়া যায়নি।
বেশ কয়েক দিন ধরে ডান পায়ে একটা ব্যথা অনুভব করছিলেন ৫৬ বছরের বদ্রীলাল মিনা। রাজস্থানের বুন্দি জেলার বারদা গ্রামের বাসিন্দা, বদ্রীলাল আবার ডায়াবেটিসের রোগীও। ব্যথা সহ্য করতে না পেরে, পেশায় রেলের কর্মী বদ্রীলাল মিনা পৌঁছান চিকিৎসকের কাছে। ততদিনে অবশ্য পায়ের ব্যথা ছড়িয়ে গিয়েছে দেহের নানা অংশে। কষ্ট পাচ্ছিলেন খাবার খাওয়ার সময়েও। কথা বলতেও বেশ অসুবিধা হচ্ছিল তার।
প্রথমে রাজস্থানের কোটায় এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন বদ্রীলাল মিনা। সেখানেই পায়ের পাতায় একটি ছোট্ট অপরেশনের জন্য এক্স-রে করা হয় তার। এবং তাতেই দেখা যায় যে বদ্রীলালের পায়ে বেশ কিছু পিন রয়েছে।
এর পরে বদ্রীলাল মিনাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের জগজীবন রাম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার সময় জানা যায় যে, বদ্রীলালের সারা শরীরেই রয়েছে এমন অগুণতি পিন। চিকিৎসকরা জানান, বদ্রীলালের শরীরে প্রায় ৭৫টি পিন রয়েছে। এক্স-রে দেখে চিকিৎসকরা জানান, বদ্রীলালের গলায় রয়েছে ৪০টি পিন, ডানপায়ে ২৫ টি এবং দুই হাতে দুটি।
পিনের সংখ্যা যাই হোক, কোটা ও মুম্বাইয়ের চিকিৎসকদের পুরোপুরি মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন বদ্রীলাল মিনা। তাদের প্রথম প্রশ্ন, এই পিনগুলো বদ্রীলালের শরীরে ঢুকল কী করে, কারণ তার খাদ্যনালি বা পেটের কোনও অংশেই কোনও রকম ছিদ্র পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত, কোন পথে চিকিৎসা শুরু করবেন, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না জগজীবন রাম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যে কারণে, আরও বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য, বদ্রীলালকে পাঠানো হয় নায়ার হাসপাতালে।