জুতোর দুর্গন্ধে টিকতে না পারলে পেতে পারেন আড়াই হাজার ডলার
কলকাতা টাইমস :
নিউ ইয়র্কে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন হলো। সেখানে গোটা আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হলেন ৭ জন তরুণ প্রতিযোগী। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। সেখানে তারা হাজির হয়েছে যার যার সবচেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত জুতা জোড়া নিয়ে। আয়োজিত হয়েছে ‘৪২তম জাতীয় দুর্গন্ধযুক্ত স্নিকার প্রতিযোগিতা’।
পরিষ্কার ও যত্নআত্তি ছাড়া স্নিকার পরতে পরতে যারা একে দারুণ দুর্গন্ধপূর্ণ বানিয়ে ফেলেছেন, তারাই এসেছেন এখানে। যার জুতায় যত বাজে গন্ধ, সেই হবে সবার সেরা প্রতিযোগী। এই প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন ১২ বছর বয়সী কনোর স্লোকম্বি। স্বাভাবিকভাবেই তার জুতার গন্ধে প্রাণ বেরিয়ে এসেছিল বিচারকদের।
বিচারকার্য যেনতেনভাবে সম্পন্ন হয় না। তির স্তরের বিচারকার্যে উৎরে যেতে হয়। চার জন বিচারক ছিলেন সেখানে। টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলেন সবাই আমেরিকার সবচেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত জুতা দেখতে। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় রিপলেস বিলিভ ইট অর নট-এ।
বিচারকের একজন জর্জ আলড্রিচ। বলেন, জুতায় একেবারে যাচ্ছেতাই গন্ধ সৃষ্টিতে সমর্থ হয়েছেন স্লোকম্বি। তার জুতার গন্ধে যেকোনো মানুষের নাক বন্ধ হয়ে যাবে আর চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসবে।
এই বিদঘুটে গন্ধ সৃষ্টির কারণ হলো, জর্জ মোজা ছাড়া জুতা পরতেন। কাদা-মাটিতে চলাচল ছিল বেশি। প্রতিযোগীদের অনেকেই আলাস্কা, কলোরাডো, নিউ ম্যাক্সিকো আর ইলিনয়েস থেকে হাজির হয়েছে নিউ ইয়র্কে।
স্লোকম্বি বলেন, আমার আন্টির একটি ফার্ম আছে। আমি মাঝে মাঝে সেখানে কাজ করি। গবাদি পশুর ফার্ম। সেখানে ওরা মল ত্যাগ করলে আমি তার মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতাম। মাছ ধরতে যেতাম আর মাঝের মধ্যেই থাকতাম।
নগদ আড়াই হাজার ডলার আর ব্রডওয়ে শো টিকেটস পেয়েছেন জর্জ। তা ছাড়া সে স্থান করে নিয়েছেন ওডোর ইটার্স হল অব ফিউমস-এ।
এই অদ্ভুত প্রতিযোগিতার প্রচলন ঘটান ভারমন্টের এক ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রেতা। ১৯৭৪ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে মূলত তিনি স্নিকার্সের প্রমোট করেন। পায়ের যত্নআত্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওডোর-ইটার্স ১৯৮৮ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল স্পন্সর হয়েছে।