এলিয়েনের আক্রমণে পাথরে পরিণত হয় সেনারা
কলকাতা টাইমস :
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ সর্বশেষ যেসব গোপন নথি প্রকাশ করেছে তার মধ্যে এলিয়েন এবং ইউএফও নিয়ে অনেক তথ্য রয়েছে। সেসবের মধ্যে এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যা কল্পনাকেও হার মানায়। সিআইএ’র প্রকাশিত সেসব নথির একটিতে বলা হয়েছে, মিখাইল গর্বাচেভ ক্ষমতায় থাকাকালে একদল রুশ সেনা অজানা মহাকাশযান বা ইউএফও গুলি করে মাটিতে ভূপাতিত করে।
কিন্তু ভূপাতিত ইউএফও থেকে জনা পাঁচেক এলিয়েন বেরিয়ে এসে রুশ সেনাদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। নথিতে বলা হয়, প্রথম দফা আক্রমণেই সেখানে উপস্থিত দু’ডজন রুশ সেনা পাথরে পরিণত হয়। আর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা দু’জন সেনা দূরে থাকায় তারা জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে আসে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করে।
বিষয়টিকে সেসময় রুশ কর্তৃপক্ষ কসমিক রিভেঞ্জ আখ্যা দেয়। অবশ্য ঘটনাটি গোপন রাখতে চাইলেও ব্যর্থ হয় গর্বাচেভ সরকার। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ ক’টি পশ্চিমা দেশের সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশ পায়।
স্বাভাবিকভাবেই সিআইএ বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয় এবং গোপন নথিতে তালিকাভূক্ত করে। তবে ঘটনাটির সময় সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা। নথি প্রকাশ করলেও ঘটনার দিন-তারিখ কালো কালি দিয়ে মুছে দেয়া হয়েছে।
প্রকাশিত ওই গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ সেনারা প্রশিক্ষণকালীন সময়ে অজানা মহাকাশযানটিকে দেখতে পায়। এরপর কৌতুহল বশে তারা সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে। কিন্তু সেটি মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেতর থেকে জনা পাঁচেক এলিয়েন বেরিয়ে আসে।
তাদের বর্ণনাও দেয়া হয়েছে সেই নথিতে। বলা হয়েছে, আকারে ছোট হলেও সেসব এলিয়েনের আকৃতি ছিল মানুষের মতোই। কিন্তু তাদের মাথা শরীরের তুলনায় বেশ বড় এবং চোখগুলো ছিল সম্পূর্ণ কালো।
ইউএফও থেকে তারা বেরিয়ে আসার সময় দু’জন রুশ সেনা খুব কাছে চলে যায়। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলিয়েনগুলো তাদের লক্ষ্য করে আলোর রশ্মি ফেলে। যার কারণে মুহুর্তের মধ্যেই রুশ সেনাদ্বয় পরিণত হয় পাথরে। সেই রশ্মি প্রসঙ্গে বলা হয়, নিক্ষেপের সময় কোনো শব্দ হয়নি। কিন্তু সেটির ছিল চোখ ধাঁধানো আলো। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড বাদেই এলাকার অনেকটাতেই বিস্ফোরণের মতো সেই আলো ছড়িয়ে পড়ে। এবং সেখানে থাকা ২৩ জন সেনা পরিণত হয় পাথরে।
রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি’র রিপোর্টের সূত্র ধরে সিআইএ আরও জানায়, পরবর্তীতে পাথরে পরিণত হওয়া রুশ সেনা এবং বিধ্বস্ত ইউএফও’কে মস্কোর কাছে এক গোপন গবেষণাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোন শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এলিয়েনরা রক্ত মাংসের মানুষকে পাথরে পরিণত করে তা আবিস্কার করতে ব্যর্থ হন বিজ্ঞানীরা।
সিআইএ’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেজিবি’র তথ্য বলছে আঘাতপ্রাপ্ত হলে এলিয়েনরা পাল্টা আক্রমণ করে থাকে। তবে এই তথ্য সঠিক হলে ভিনগ্রহের প্রাণীদের কাছে এমন সব উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে যা মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।