গোটা শহরই যখন ১১ সংখ্যার !
কারণ কি?—উৎসুক হয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করতেই মিলবে অবাক করা তথ্য। শুধু ঘড়ি নয়, এই শহরের অনেক কিছুতেই রয়েছে এগারো সংখ্যার আধিক্য। যেমন এই শহরে রয়েছে এগারোটি জাদুঘর, এগারোটি গির্জা, এগারোটি ঝরনাসহ আরো অনেক কিছু। কিন্তু এগারো কেন? কি বিশেষত্ব রয়েছে সংখ্যাটির।
এই উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে হাজার বছর আগে যখন এই নগরীর গোড়াপত্তন হয়েছিল। একাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এই নগরীতে ইলভ নামে এক জার্মানের আগমন ঘটেছিল, যিনি এই নগর প্রতিষ্ঠায় অনেক পরিশ্রম করেছিলেন। তবে ওই সময় ইলভ সফল না হলেও সোলোথার্নবাসী তাকে ভোলেনি। তারা ইলভ স্মরণে তার নামের সাথে মিল রেখে শহরে ইলেভেন নামে কয়েকটি স্থাপনা তৈরি করে। সেই থেকে শুরু।এরপর যত দিন গেছে এই শহরের সাথে এগারো সংখ্যাটি জড়িয়ে গেছে কাকতালীয়ভাবে। ১২১৫ সালে যখন এই শহরে কাউন্সিলর নির্বাচন হয় তখন এগারো জনকে নির্বাচন করা হয়েছিল। ১৪৮১ সালে সোলোথার্ন সুইস কনফেডারেশনের এগারোতম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয়। ওই সময় এগারো জন শহর রক্ষাকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এরপর পনেরো শতকের গোড়ার দিকে যখন শহরে সেইন্ট আরসু গির্জা নির্মাণ করা হয় তখন গির্জায় এগারোটি দরোজা, এগারোটি জানালা, এগারোটি রো, এগারোটি ঘণ্টা, এগারো রকমের পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল।
মোট কথা এই শহরবাসীর এগারো সংখ্যাটির প্রতি রয়েছে এক প্রাগৈতিহাসিক দুর্বলতা, যা তারা হাজার বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে পরম মমতায়, পরম যত্নে।