এই সরল অংক কষে আগেই জেনে নিন কয় সন্তান ভাগ্যে !
কলকাতা টাইমস :
নেটঘুঘুদের দৌলতে হাতে এল এমনই এক অঙ্ক যা কষে ফেললেই নাকি জানা যাবে যে কোনও ব্যক্তির সম্ভাব্য সন্তান-সংখ্যা। সত্য-মিথ্যা নিয়ে মাথা না-ঘামিয়ে কষে ফেলুন অঙ্ক।
যে কোনও মানুষেরই একটা বয়সের প্রধান কৌতূহল তার বিবাহিত জীবন নিয়ে। কেমন বিবাহ, কোথায় বিবাহ— এই সব কৌতূহল অবশ্যই অদম্য। কিন্তু তার পরেও একটা কৌতূহল থেকে যায়, সেটা সন্তান-সংক্রান্ত। ছেলেপুলে মানুষ হবে না, উল্লুক বনবে, একথা তাঁদের মাথাতেই ঘুরপাক খায়, যাঁরা ইতিমধ্যে সন্তান লাভ করেছেন। কিন্তু অবিবাহিত ও সদ্যবিবাহিতদের প্রাথমিক প্রশ্নই থাকে সন্তানের সংখ্যা নিয়ে। ক’টি ছানাপোনা জন্মাবে তাঁর ঘরে, জানতে জ্যোতিষীর দ্বারস্থ হন অনেকেই। কিন্তু, নেটঘুঘুদের দৌলতে হাতে এল এমনই এক অঙ্ক যা কষে ফেললেই নাকি জানা যাবে যে কোনও ব্যক্তির সম্ভাব্য সন্তান-সংখ্যা। সত্য-মিথ্যা নিয়ে মাথা না-ঘামিয়ে কষে ফেলুন অঙ্ক। আর মজা হোক, ভারি মজা হোক।
• প্রথমেই আপনার জন্মসালটা ক্যালকুলেটরে লিখে ফেলুন।
• তার পরে আপনার বর্তমান বয়স সেই সংখ্যা থেকে বিয়োগ করুন।
• এবার আপনার ভাই-বোনের সংখ্যা দিয়ে সেই বিয়োগফলকে ভাগ করুন (ভাই-বোন না থাকলে ১ দিয়ে ভাগ করুন)।
• এর পরে প্রাপ্ত সংখ্যাকে আপনার বাবা-মা’র ভাইবোনদের মোট সংখ্যা দিয়ে ভাগ করুন (না থাকলে ১ ধরতে হবে)।
• এর সঙ্গে ১০ যোগ করুন।
• এই সংখ্যাকে আপনার বাবার জন্মসাল দিয়ে গুণ করুন।
• এই সংখ্যাকে আপনার মায়ের জন্মসাল দিয়ে ভাগ করুন।
• আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হন, তাহলে এবার ১০০ যোগ করুন।
• যদি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি ডেভেলপড দেশের বাসিন্দা হন, তা হলে ১৫০ যোগ করুন।
• যদি ভারত বা মায়ানমারের মতো উন্নয়নশীল দেশের বাসিন্দা হন, তা হলে ২০০ যোগ করুন।
• প্রাপ্ত সংখ্যাকে এবার ৩০০ দিয়ে ভাগ করুন (যদি আপনার বয়স ২০-র নীচে হয়) অথবা ২৫০ দিয়ে ভাগ করুন (যদি আপনার বয়স ২০-৩০-এর মধ্যে হয়ে থাকে)।
এইবারে প্রাপ্ত সংখ্যাই আপনার সম্ভাব্য সন্তান-সংখ্যা। যদি দশমিকে উত্তর আসে, তবে তার নিকটবর্তী পূর্ণসংখ্যাকেই ধরতে হবে অর্থাৎ, উত্তর ২.৬৫ হলে ৩ ধরতে হবে।
উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে নেটঘুঘুদের বাপান্ত করুন।