কেউ জানেন কি কোথায় গেলেন এককালের ডাকসাইটে এই ভারত সুন্দরী
কলকাতা টাইমস :
দেখতে সুন্দরী। অভিনয়টাও ভালই করতেন। তবুও তেমনভাবে দাগ কাটতে পারেননি বলিউডে। এখন পুরদস্তুর গৃহিণী নম্রতা শিরোদকর। দুই সন্তানের মা-ও। স্বামী বিখ্যাত অভিনেতা। তবে তিনি নিজে প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে।
মারাঠি পরিবারে জন্ম নম্রতার। মডেলিংয়ের হাত ধরে গ্ল্যামার জগতে প্রবেশ। ১৯৯৩ সালে মিস ইন্ডিয়া হন। বোন শিল্পা শিরোদকরও একসময় অভিনেত্রী হিসাবে জনপ্রিয় ছিলেন। ঠাকুরমা মীনাক্ষী শিরোদকর মারাঠি ছবির ডাকসাইটে অভিনেত্রী ছিলেন। ১৯৩৮ সালে সুইমস্যুট পরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সকলকে। এছাড়াও চুটিয়ে থিয়েটার করতেন।
১৯৯৮ সালে সালমান খানের বিপরীতে ‘জব প্যায়ার কিসিসে হোতা হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন নম্রতা।যদিও অক্ষয় কুমার এবং সুনীল শেঠির বিপরীতে ‘পূরব কি লায়লা পশ্চিম কি ছ্যায়লা’ ছবিতেই প্রথম অভিনয় করেন। তবে সেটি মুক্তি পায়নি।
মাত্র কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে ‘বাস্তব,’ ‘পুকার,’‘অস্তিত্ব’,‘কচ্চে ধাগে’-র মতো জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে তারপর আর হিটের মুখ দেখেননি।
নম্রতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। এক রেস্তোরাঁ মালিক দীপক শেঠির সঙ্গে প্রথমে নাম জড়ায় তার। পরে ‘বাস্তব’ ছবির পরিচালক, মহেশ মঞ্জুরেকরের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে শোনা যায়।
তবে তেলুগু ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েই পাল্টে যায় তার জীবন। তেলুগু সুপারস্টার মহেশের প্রেমে পড়েন তিনি। দীর্ঘ ৫ বছর লুকোছাপার পর ২০০৫ সালে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দেন নম্রতা। মন দেন ঘর-সংসারে। ২০০৬ সালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ছেলের নাম রাখেন গৌতম কৃষ্ণ।
কিন্তু তারপরই মনোমালিন্য দেখা দেয় দু’জনের মধ্যে। ঝামেলা এমন আকার ধারণ করে যে মহেশের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান নম্রতা। তবে দুই পরিবারের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ঝামেলা মেটে তাদের। ফের একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
২০১২ সালে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন নম্রতা। মেয়ের নাম রেখেছেন সিতারা। তবে ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গেলেও, অভিনয় জগতে ফেরার কোনও ইচ্ছা নেই তার।