গ্রহণের সময় কিছু খেতে নেই, কেন জানেন ?
সূর্যগ্রহণ কিংবা চন্দ্রগ্রহণ৷ প্রকৃতির এই দুই জিনিসকে ঘিরেও নানা বিশ্বাস-অবিশ্বাস জড়িয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে৷ কথিত আছে, এই সময় কোনও খাওয়ার মুখে তুলতে নেই৷ কিন্তু কেন জানেন?
এই গ্রহণ চলাকালীন বেশ কিছু নিয়ম জারি রয়েছে৷ গ্রহণ চলাকালীন খাওয়ার গ্রহণ করতে নেই, বাইরে বের হতে নেই৷ এমনকি গর্ভবতী মহিলাদেরকেও বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়৷ এমনই বেশ কিছু কড়া নির্দেশ মেনে চলতে হয় বাড়ির মা-কাকিমাদের কথায়৷
কিন্তু এগুলি নিছক কুসংস্কার নাকি এর সঙ্গে কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ জড়িত রয়েছে, সেই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে৷ এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলেও একটি বিষয় কিন্তু স্পষ্ট৷ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া সূর্যের উপরে পরে৷ আবার চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের আলো চন্দ্রের উপর পরে৷ কিন্তু পৃথিবীর ছায়া চন্দ্রের উপর পতিত থাকে বলে চন্দ্রের উপর সূর্যের পতিত আলোর প্রতিফলন কিরন পৃথিবীতে আসে না৷
কিন্তু সূর্যের পতিত আলোর বিকিরন পৃথিবীতে চলে আসে৷ সেই কারণে চাঁদকে আমরা লাল দেখি৷ সেই সময়ে প্রচুর পরিমাণে বিকিরন পৃথিবীর উপর এসে পরে৷ যা মানুষের শরীরের উপরে বিপুল পরিমাণে প্রভাব পরে৷ এই বিষয়টি বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমাণিত৷ তাই গ্রহণের সোজাসুজি চাঁদ কিংবা সূর্যের দিকে তাকাতে নেই৷ সূর্যগ্রহণের থেকে চন্দ্রগ্রহণে বিকিরণ অনেক কম হয়৷ কিন্তু এর ক্ষতিকারক প্রভাব কিন্তু কম নয় কোনও অংশেই৷
মুনি ঋষিদের মতে, এই বিশ্বজগতে প্রাকৃতিক জগতের মধ্যেও নানা পরিবর্তন হয়ে থাকে৷ যা খুব সাধারণ হয়ে থাকলেও এর জেরে সাধারণ জীবনযাপনেও ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ চন্দ্রগ্রহণ কিংবা সূর্যগ্রহণ প্রকৃতির খুবই সাধারণ একটি বিষয়৷
তবু বলা হয়ে থাকে, এই খাওয়ার রান্না করতে নেই কারণ তার মধ্যে তাহলে বিষক্রিয়া তৈরি হয়৷ এই কারণে হয় গ্রহণের আগে নয়তো গ্রহণের পরে খাওয়ার তৈরির একটি রীতি প্রচলিত রয়েছে৷ প্রসঙ্গত, গ্রহণের সময় সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী সমান রেখায় চলে আসে৷ তাই জোয়ার-ভাঁটাও তৈরি হয়৷
তাহলে কি খাবেন এই গ্রহণের সময়? এই প্রশ্নের উত্তরে বৈজ্ঞানিকরা জানাচ্ছেন, প্রচুর পরিমাণে জল আর হালকা খাওয়ার খান৷ ফল এবং শাকশব্জি খান৷ যা সহজেই হজম হতে পারে৷ সুতরাং এত তর্ক বিতর্কে না গিয়ে গ্রহণের সময় আপনার ডায়েটের তালিকায় রাখুন হালকা খাওয়ার এবং সুস্থ থাকতে খালি পেটে যোগা করুন৷