কলকাতায় দক্ষিণ ভারতীয় ফ্লেভার প্রত্যাখিত, বাঙালিয়ানাই ব্যবসায় সফল

পশ্চিমবঙ্গের মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিন মিলিয়ে ৯০টি হলে তৃতীয় সপ্তাহে চলছে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘হামি’। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিনেমাটি ব্লকবাস্টার।
জানেন কি এই ‘হামি’সহ তিনটি ছবি কলকাতায় সফল বাণিজ্য করলেও তালিকায় নেই তামিল-তেলুগু সিনেমার কোনো রিমেকের নাম। অর্থাৎ, এখানকার দর্শকরা দক্ষিণ ভারতীয় ফ্লেভারকে প্রতাখ্যান করেছেন। তারা জীবনঘনিষ্ট ও মৌলিক কনটেন্টের প্রতি ভরসা রাখছেন ২০১৮ সালে সিনেমা হলে দর্শকের ঢল নামা যেটাকে বলে, সেটা শুরু ‘দৃষ্টিকোণ’ ও ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’র হাত ধরে। এই দুই ছবি উৎসবের আমেজ দেখেছে। তারপর ১১ মে মুক্তি পে ‘হামি ‘
সিনেমা ব্যবসা বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ লাডিয়া বলছেন, ‘‘হামি’ ব্লকবাস্টার। ‘দৃষ্টিকোণ’, গুপ্তধনের সন্ধানে’ হিট। বাংলা ছবির জন্য সময়টা নিঃসন্দেহে ভালো।”
দর্শকের সঙ্গে কথাবার্তা শেষে প্রতিবেদক বলেন, “বোঝা গেল, ‘হামি’র তৃতীয়-চতুর্থ সপ্তাহ, প্রযোজকের পাওনার নিরিখে প্রথম-দ্বিতীয় সপ্তাহের মতোই ভালো হবে।”
এদিকে প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরী জানান, নন্দিতা-শিবপ্রসাদের আগের তিন ছবি ‘বেলাশেষে’, ‘প্রাক্তন’ ও ‘পোস্ত’কেও ছাপিয়ে যাবে ‘হামি’র ব্যবসা। ‘হামি’র ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মাল্টিপ্লেক্স থেকে যে ব্যবসার অঙ্ক আসছে, সে ব্যবসা বাংলা ছবি আগে দেখেনি।
একটি সিনেমা হলের টিকিট কাউন্টার থেকে শোনা যায়, ‘দিনের দিন খুব সকালে সামান্য টিকিট পড়ে থাকে। অ্যাডভান্সে প্রায় হাউজফুল হয়ে যায়। রোববার সিনেমাটা দেখতে চাইলে শুক্রবার টিকিট কেটে নিন।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত কয়েক বছরে একেবারে হাতেগানা বাংলা ছবি পাঁচ-ছ’ সপ্তাহ জুড়ে এভাবে চলেছে। ফলে একটি ছবি মুক্তির পর নতুন মুক্তির জায়গা পেতে কোনো অসুবিধে হত না। কিন্তু এ বছর যেমনভাবে ‘হামি’ এগোচ্ছে, তাতে সৃজিত মুখার্জির ‘উমা’ মনমতো জায়গা পেলেও তারপর থেকে হল ভাগাভাগি নিয়ে বেশ প্রতিযোগিতা শুরু হবে বলেই আঁচ করা যায়।