চার চক্কর কেটে সটান সমুদ্রে ‘ঝাঁপ
জানা গেছে, তিন দিনের এই ভ্রমণে এবারই প্রথম কোনো সাধারণ পর্যটক হিসেবে মহাকাশ ও পৃথিবীর কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে নিরাপদে ফিরে এলেন তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বুধবার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ওই চারজন বেসামরিক নাগরিককে নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশে রওনা হয় স্পেসএক্সের ফ্যালকন নাইন রকেটটি। আর এ মহাকাশযাত্রার নাম দেওয়া হয় ইন্সপিরেশন ফোর।
জানা গেছে, শিফটফোর পেমেন্টের মালিক ৩৮ বছর বয়সী হাই স্কুল ড্রপআউট জ্যারেড আইস্যাকম্যান পুরো ট্রিপ স্পন্সর করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন পেশায় নার্স হেইলি আর্সেনাও, বাল্য অবস্থায় যিনি বোন ক্যান্সারকে জয় করেছেন। তিনিই মহাকাশে যাওয়া সব চেয়ে কম বয়সী মার্কিনি। এছাড়া ছিলেন এয়ারোস্পেস ডেটা ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস সিমব্রস্কি ও ভূবিজ্ঞানী সিয়ান প্রক্টর।
এই মহাকাশ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে- ইনস্পিরেশন ৪। কারণ, চারজনের এই মহাকাশ অভিযান ভবিষ্যতে অন্যদের প্রেরণা দেবে।
চারজন স্পেসএক্স ড্রাগনে বসার পর যাত্রা শুরু হয়। ১২ মিনিট পর ফ্যালকন ৯ রকেটের দ্বিতীয় পর্যায় চালু হয়। ফ্লোরিডায় নাসার মহাকাশ কেন্দ্র থেকে স্পেসএক্সের রকেটের যাত্রা শুরু হয়। সেখান থেকেই চাঁদে যাত্রা করেছিল অ্যাপলো ১১।
আগেই জানানো হয়েছিল, মহাকাশ যাত্রা শেষ করে ফ্লোরিডাতেই ফিরবেন চারজন। ফেরার সময় প্যারাশুট খুলে গতি কমানোর কথা ছিল মহাকাশযানের।
স্পেস এক্সের এই মহাকাশ অভিযানে নতুন দিগন্ত খুলে গেল। সাধারণ মানুষ মহাকাশ অভিযান করতে পারলেন এবং ভবিষ্যতেও পারবেন।
এই অভিযান দেখিয়ে দিল- মহাকাশ অভিযানের জন্য পেশাদার নভোচর হওয়ার দরকার নেই। এই মহাকাশ অভিযানের পর স্পেস এক্সের দাবি, মানবিকতার নতুন দিগন্ত খুলে গেল।