সাপলুডু নয় রহস্য লুকিয়ে মোক্ষপটে
সব থেকে বিস্ময় জাগে যখন জানা যায়, সাপলুডুর উৎস আমাদের উপমহাদেশেই। এবং এর উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড়দের মোক্ষ সম্পর্কে সচেতন করা। দেখা যাক এই খেলার রহস্য—
• সাপলুডুর আদি নাম ‘মোক্ষপট’। প্রাচীন ভারতে এর জন্ম। কিন্তু ১৯ শতকের শেষদিকে ইংরেজরা এই খেলাকে নিজেদের ছাঁচে ঢালাই করে।
• সাপলুডু আসলে মোক্ষের রাস্তা বাতলায়। এখানে ছক্কার দানকে ‘কর্ম’ হিসেবে ধরতে হয়।
• সাপ আসলে পাপের প্রতীক। তার মুখে পড়লে পতন অনিবার্য।
• অবশ্যম্ভাবী ভাবে মইগুলি পুণ্যকর্মকে বোঝায়। তাতে চড়লে মোক্ষের পথ সহজ হয়।
• বার বার সাপ ও মইতে ওঠা-নামা জন্মান্তর চক্রের কথা বলে। কর্মফল অনুযায়ী উত্থান অথবা পতন নির্ধারিত হয়।
• ছকের চূড়ান্ত স্তরে রয়েছে মোক্ষ। সেই ঘরের নম্বর ১০০। এটা পূর্ণতার প্রতীক, সমগ্রের প্রতীক। এখানে পৌঁছতে পারলে পুনর্জন্মচক্র থেকে মুক্তি। জাগতিক পাপ-পুণ্যের হিসেব থেকেও মুক্তি।
• আদিতে এই খেলায় সাপের মখগুলিতে কোন কোন পাপের ফলে পতন ঘটছে, তাদের নামগুলি লেখা থাকত। লেখা থাকত মইয়ের গায়ে পুণ্যকর্মগুলির নামও।