অদ্ভুত কিন্তু সত্যি, মিলে গেছে ১৪ পূর্বাভাস!
কলকাতা টাইমস :
ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কৌতুহলের অন্ত নেই। যদি সেই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়িত হয় তাহলে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়। বিভিন্ন সময় নানা ব্যক্তি মানব সভ্যতার এমনই কিছু পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যা পরবর্তীকালে হুবহু মিলে যায়। আজ পর্যন্ত এর রহস্যের মীমাংসা করতে পারেনি কোনো যুক্তি।
১) টাইটানিকের সলিল সমাধি
১৯ শতকের সাহিত্যিক মর্গ্যান রবার্টসন মূলত ছোট গল্পের রচয়িতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তার বেশির ভাগ লেখনীই মাঝারি মানের। একমাত্র ব্যতিক্রম উপন্যাস ‘ফিউটিলিটি, অর দ্য রেক অফ দ্য টাইটান’। এই কাহিনীতে বিশ্বের সর্ববৃহত্ ট্রিপল-স্ক্রু প্রপেলার বিশিষ্ট জাহাজ উত্তর আটলান্টিকে মহাসাগরে হিমশৈলে ধাক্কা মেরে ২৫০০ যাত্রীসহ ডুবে যায়। আশ্চর্যের বিষয়, উপন্যাস প্রকাশের ১৪ বছর পর আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তরে একইভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডুবে যায় বিশাল যাত্রীজাহাজ আরএমএস টাইটানিক।
২) হিটলারের জন্মের পূর্বাভাস করেছিলেন নস্ত্রাদামু
১৫৫৫ সালে পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম একনায়ক অ্যাডল্ফ হিটলারের উত্থানের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা নস্ত্রাদামু। নাত্সি শাসকের জন্ম বৃত্তান্ত ও নিষ্ঠুরতার কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছিলেন, পশ্চিম ইউরোপের এক শিশু যে দরিদ্র ঘরে জন্ম নেবে এবং তার কথার মোহে আবিষ্ট হবে বহু মানুষ। এমনকি সেই শিশুর নামও লিখে গেছেন নস্ত্রাদামু। তবে হিটলারের পরিবর্তে তিনি উল্লেখ করেছিলেন ‘হিসটার’।
৩) হিরোশিমা-নাগাসাকির বিস্ফোরণ
১৯১৪ সালে তার ‘দ্য ওয়ার্ল্ড সেট ফ্রি’ উপন্যাসে মানব ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম সর্বনাশের কথা লিখে গেছেন সাহিত্যিক এইচ জি ওয়েলস। ঘটনার ৩০ বছর আগেই অ্যাটমিক বোমার আঘাতে গণহত্যার পূর্বাভাস করেছিলেন তিনি। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, বিস্ফোরণের বহু বছর পরেও এই দুই জনপদ বাসযোগ্য হবে না।
৪) ওকলাহোমা শহরে বোমা বিস্ফোরণ
আমেরিকার আধ্যাত্মিক মিডিয়াম ট্যানা হয় দাবি করেছিলেন, অশরীরী আত্মারা তাকে অদূর ভবিষ্যতের বহু ঘটনার কথা জানিয়ে যান। বিদেহী আত্মাদের নিজের চোখে দেখতে পান বলেও দাবি করেন তিনি। ১৯৯৫ সালের এক লাইভ রেডিও অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ওকলাহোমা শহরের এক বাড়িতে বিধ্বংসী বোমা বিস্ফোরণ ঘটাবে জঙ্গিরা। ঠিক ৯০ মিনিট পর প্রচণ্ড বিস্ফোরণে চুরমার হয়ে যায় ওকলাহোমার অ্যালপ্রেড পি মুরাহ ফেডেরাল বিল্ডিং। ঘটনার হোতা টিমথি ম্যাকভেই ও তার সঙ্গীরা পরে গ্রেপ্তার হয়।
৫) অগ্নুত্পাত, সুনামি এবং হারিকেন ক্যাটরিনা ঘটনার
বেশকিছু দিন আগে ভারত মহাসাগরে আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণ এবং সুমাত্রা ও ইন্দোনেশিয়া উপকূলে আছড়ে পড়া ভয়ঙ্কর জলোচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন পামার। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের ১৪টি দেশে সুনামির তাণ্ডবে প্রাণ হারান ২,৩০,০০০ মানুষ। শুধু তাই নয়, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সম্ভারের পূর্বাভাসও করেছিলেন তিনি। তবে ২০০৫ সালের হারিকেন ক্যাটরিনা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়ার পরেই জনপ্রিয় হন পামার।