টাটার সিংহাসনে যোগ্যতা কিন্তু এরই সব থেকে বেশি! রতনের ভরসা লিয়া, মায়া ও নেভিল

কলকাতা টাইমস :
টাটা গোষ্ঠীকে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন রতন টাটা। কেবল যদি ভারতের কথাই হয়, নুন থেকে মোটরগাড়ি, একজন ভারতীয় নাগরিকের প্রতিদিনের জীবনে কাছের ‘বন্ধু’ টাটা। টাটা গোষ্ঠীর পণ্যের প্রতি এই আস্থা বা বিশ্বাস জাগানো রতনের জীবনের অন্যতম সাফল্য। তার জেরেই আজ ৩,৮০০ কোটি টাকার ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য। পাশাপাশি রয়েছে বহু জনহিতৈষী কাজ। এখন প্রশ্ন উঠছে, টাটার এই সাম্রাজ্য এবং ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী কে হবেন?
রতন টাটার মৃত্যুর পর তিনটি নাম এগিয়ে রয়েছে, তাঁরা হলেন লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটা। রতন বিয়ে না করলেও লিয়া, মায়া ও নেভিল হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার তিন সন্তান। ইতিমধ্যে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁরা। লিয়া, মায়া ও নেভিলের প্রতি ভরসা দেখিয়েছেন খোদ রতন। সেই সূত্রেই স্যর দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে তিনজনকেই নিয়োগের অনুমোদন দেন তিনি। এবার দেখে নেওয়া যাক উত্তরাধিকারী হিসেবে এই তিনজনের যোগ্যতা কতখানি।
লিয়া হলেন নোয়েল টাটার বড় মেয়ে। তিনি মার্কেটিং বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন মাদ্রিদের বিখ্যাত আইই বিজনেস স্কুলে। ২০০৬ সালে ‘তাজ হোটেল রিসর্টস এবং প্যালেসেস’-এ যোগ দেন লিয়া। ধীরে ধীরে সেই সংস্থায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে ‘তাজ গ্রুপ অব হোটেলস’-এর কাজকর্ম দেখেন লিয়া টাটা। হসপিটালিটি ক্ষেত্রে টাটা গোষ্ঠীর শক্তি বাড়াতে বড় ভূমিকা নিচ্ছেন লিয়া। এক্ষেত্রে কাজে আসছে তাঁর বিদেশে পড়াশোনা।
নোয়েল টাটার কনিষ্ঠতম সন্তান হলেন নেভিল। এককালে বেইস বিজনেস স্কুলের ছাত্র টাটা গোষ্ঠীর ‘ট্রেন্ট লিমিটেড’-এর দায়িত্বে আছেন। ট্রেন্ট লিমিটেড সংস্থার অধীনে রয়েছে ওয়েস্টসাইড, স্টার বাজার, ল্যান্ডমার্ক এবং জুডিও স্টোরের মতো ব্র্য়ান্ডগুলি। সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, মানসী কির্লোস্করকে বিয়ে করেছেন নেভিল। এই কির্লোস্কর গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে টয়োটা সংস্থার একটা বড় শেয়ার। শিল্প জগতের অনেকেই মনে করছেন, টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যতের সম্ভাব্য নেতা হতে পারেন নেভিল।
ব্রিটেনের বেইস বিজনেস স্কুল এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন মায়া। তিনি নোয়েল টাটার ছোট মেয়ে। পেশা জীবন শুরু করেন টাটা ক্যাপিটালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টাটা অপর্চুনিটিস ফান্ডে। টিসিএফ বন্ধ হওয়ার পর টাটা ডিজিটালে চলে আসেন। এছাড়াও টাটা নিও অ্যাপ চালু করেন তিনি। যা টাটা গোষ্ঠীর সমস্ত অ্যাপগুলিকে এক ছাতার তলায় এনেছে। উল্লেখ্য, মায়ার মা আলু মিস্ত্রি হলেন ধনকুবের শিল্পপতি পালোনজি মিস্ত্রির মেয়ে। টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, প্রয়াত সাইরাস মিস্ত্রি সম্পর্কে তাঁর মামা। নোয়েল টাটার তিন সন্তানের মধ্যে রতন টাটার উত্তরাধিকার বহন করার বিষয়ে সবথেকে এগিয়ে মায়াই।