এমনই বিশেষত মাত্র ১৮৯ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের, যার দাম ৫৩ লাখ!
ভারতের মুম্বাইতে নতুন এক প্রজেক্টের অধীনে ছোট ছোট ফ্ল্যাট গড়ে উঠছে, তার মধ্যে রয়েছে মাত্র ১৮৯ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটও। ফ্ল্যাট ছোট হলেও দাম কিন্তু আকাশ ছোঁয়া। তবে এসব ফ্ল্যাটে কিছু জায়গা সাশ্রয়ী পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে, যাতে বাড়তি জিনিস রাখা যায়।
মালাদে নির্মানাধীন একটি কমপ্লেক্সের ২৪৭ স্কয়ারফিটের একটি ফ্ল্যাটে দাঁড়িয়ে শ্রাবন ও বিজয়লক্ষ্মী গুপ্তা চারবছর পরে এখানে তাদের জীবনের নতুন দিকের কথা ভাবছেন। ১০ ফিট বাই ১০ ফিটের গান্ধী নগরের যে ঘরটিতে বর্তমানে তারা থাকেন সেখানে জলের ট্যাপ আর শেয়ার করা বাথরুমের কারণে ঝগড়া আর গালাগাল প্রতিদিনের ঘটনা।
সেখান থেকে বেরিয়ে একটি শোবার ঘর, বাথরুম ও রান্নাঘরের ফ্ল্যাট পেয়ে বেশ খুশিই তারা। সঙ্গে কাপবোর্ডে জুতা ও পোশাক রাখার পর্যাপ্ত জায়গাও থাকছে বলে সেখানে থাকতে পারাটা খু্বই স্বস্তিদায়ক হবে তাদের জন্য। যদিও বসবাসের জায়গার পরিমাপ অফিসের কুঠুরি ঘরের মতো।
তরুণ চাকরিজীবীরাও এখন এসব ছোট ছোট ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকছেন। যারা মোটামুটি আয় ইনকাম করছেন তারাও কিনতে চাইছেন এসব ফ্ল্যাট। এসব ফ্ল্যাটের সর্বনিম্ন পরিমাপ ১৮৯ স্কয়ারফিট আর সর্বোচ্চ ৩২০ স্কয়ারফিট।
সবচেয়ে সস্তা ফ্ল্যাটটির দামও ৫৩ লাখ রুপি। আর মোটামুটি গোছানো ফ্ল্যাটগুলো মিলবে ৬১ লাখে, অসজ্জিত ৩০৯ স্কয়ারফিটের ফ্ল্যাটের দাম ৮৬ লাখ রুপি।
ক্যাপসুল সাইজের এই ধরনের ফ্ল্যাট এর আগে জাপান, হংকং, নিউইয়র্ক ও লন্ডনেও চালু হয়েছে।
ভারতের জোনস লাং লা সাল্লের সিইও এবং কান্ট্রি হেড রমেশ নায়ের বলেন, মুম্বাইতে এখন অনেকেই এই ধরনের ফ্ল্যাট তৈরি করছেন। এমনকি কিছু ক্রিকেটারও এই ধরনের প্রজেক্ট খুঁজছেন দ্রুত অর্থ আয়ের উৎস হিসেবে।
মেঘালয় থেকে মুম্বাইতে কাজের জন্য আসা মেঘনাও ছোট ফ্ল্যাট নিয়ে বেশ খুশি। এখন ভাড়ার টাকাতেই নিজের লোনটা শোধ করে দিতে পারবেন তিনি।