আর্জেন্টিনা দলে হঠাৎই বিদ্রোহ ! অবিলম্বে কোচকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি
কলকাতা টাইমসঃ
নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে শুরুতেই ধাক্কা খায় বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় ম্যাচে তা আরও হতাশার ও ভয়াবহ। বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গ্রুপ থেকেই বাদ পড়ার অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে হারের জন্য আর্জেন্টিনার বেখাপ্পা একাদশকেই দায়ী করছেন অনেকে। কেননা, পাওলো দিবালার মতো অস্ত্রকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ। ছিলেন না অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তার জায়গায় যাকে খেলানোর গুঞ্জন ছিল, সেই ক্রিস্টিয়ান পাভনকেও নামানো হয়নি। ডিফেন্স, মাঝমাঠ সবই প্রায় অগোছালো ছিল। লিওনেল মেসির মতো ফুটবলার দলে থাকা সত্বেও মিডফিল্ড থেকে বল সরবরাহ না হওয়ার ফলে তিনিও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি।
তাই আর্জেন্টিনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসহ গোটা বিশ্বের সমর্থকদের অভিযোগের তীর কোচের দিকেই। একক ক্ষমতাবলে একাদশ ঠিক করায় কোচ নিজেও এই দায় নিজের কাধে নিয়েছেন। যদিও খোদ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকেও সাম্পাওলিকে বরখাস্তের প্রস্তাব উঠেছে! ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে হারের পর বৃহস্পতিবার রাতে আর্জেন্টিনার ফুটলাররা একটি বৈঠকে যোগ দিয়ে কোচের বরখাস্তের পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম মুন্দো আলবিসিলেস্তে।
তাই আগামী ২৬ জুন নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে সাম্পাওলির না থাকার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। তবে ডাগ আউটে তার পরিবর্তে কে থাকবেন বা খেলোয়াড়দের ভোট দেওয়ার বিষয়টি সত্য কিনা এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। সাম্পাওলি বরখাস্ত হলে আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার জর্জ বুরুচাগা কোচের দ্বায়িত্ব পেতে পারেন বলে আলোচনা শুরু হয়েছে। ‘এল বুরু’ নামে পরিচিত এই ফুটবলারের পা থেকেই এসেছিলো ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের জয়সূচক গোলটি।