অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সিনড্রোম’-এ ভুগছেন?

খুব বেশি কমার্শিয়াল স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহারে হতে পারে ‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সিনড্রোম’। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ঠিক করতে সার্জারির মতো কাজে এ সমস্যা হতে পারে। স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে এমন কৃত্রিম পন্থায় কমার্শিয়াল পণ্যের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা গেছে। রাশিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হায়ার স্কুল অব ইকোনমিকস-এর বিশেষজ্ঞরা এ গবেষণা করেছেন।
সম্প্রতি মিডিয়ায় স্বাস্থ্যগত বিশেষ এক সমস্যাকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সিনড্রোম বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে রীতিমতো স্তন অপসারণ করাতে হয়েছে। কাজেই স্বাস্থ্য সচেতনদের এ পথে যাওয়া বড় ধরনের ভুল হবে।
এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা ব্যাপক হারে প্রচারের জন্যে অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে সামনে আনা হচ্ছে। আধুনিক যুগে খাদ্য তালিকা, ফিটনেস, প্লাস্টিক সার্জারি এবং অর্গানিক খাবার ইত্যাদি জনপ্রিয় হয়েছে।
তা ছাড়া দেহের সৌন্দর্য বাড়াতে মানুষের এমন চরম সিদ্ধান্ত সত্যিকার অর্থেই ভয়ংকর। এ সমস্যাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে ‘সুপার হেলদি’ খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, ফিটনেস ও ইয়োগা স্কুল ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন হেলথ কেয়ার প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রাখা উচিত। মানুষকে বোঝানোর ক্ষেত্রে তাদেরও বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত।
প্রধান গবেষক ইভজেনিয়া গোলম্যান জানান, দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির বিষয়টি অতিমাত্রায় বাণিজ্যিকীকরণ হওয়া উচিত নয়। এর কারণেই নিজেকে সুন্দর করে তোলার কল্পনা মানুষকে আচ্ছন্ন করে ফেলছে।
তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া গ্রহণের বিষয়ে মানুষকে আগ্রহী হতে হবে। এটা সত্যিকার উপায়। জার্নাল অব সোশাল পলিসি স্টাডিজ-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।