জামাকাপড় কাচতে সাবান-জল যান, সূর্যের আলো থাকলেই হবে
কলকাতা টাইমস :
হাতে কাপড় কাচার যুগ তো কবেই চলে গেছে। এবার বোধহয় ওয়াশিং মেশিনেরও দিন ফুরালো। বিজ্ঞানীদের নয়া আবিষ্কারে এবার সূর্যের আলোতেই সারা হবে জামা-কাপড় কাচাকাচি। নতুন এ প্রযুক্তি যাদের ভাবনাপ্রসূত, তাদের তালিকায় আছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানীও।
অষ্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক আবিষ্কার করেছেন এ পদ্ধতি। জামা-কাপড় যেহেতু কাঠামোগতভাবে ‘থ্রি-ডি’, তাই সহজেই আলো শোষণ করতে পারে। এ সুবিধাই তন্তু থেকে ময়লা বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়েছে বলে জানাচ্ছেন গবেষক দলের প্রধান ড. রাজেশ রামনাথন।
কীভাবে সম্ভব এই কাচাকাচি? ডিটারজেন্ট বা জল ব্যবহারের তো প্রশ্নই নেই। একটি লাইট বাল্বের নিচে বা সূর্যালোকের নিচে রাখলেই কাজ হবে। আসলে আলোকশক্তির নিচে রাখলে যেকোনো ন্যানোস্ট্রাকচারকে আলোর নিচে রাখলে তা বিশেষ শক্তি আহরণ করে ও ইলেকট্রনের মুক্তি ঘটে।
এই তপ্ত ইলেকট্রনগুলিই যেকোনো জৈব বস্তুকে নষ্ট করে দিতে পারে। বিজ্ঞানের এ বিশেষ দিকটিকেই জামাকাপড় কাচার মতো দৈনন্দিন কাজে লাগানো হয়েছে। ফলত এ প্রযুক্তি নতুন না হলেও, ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে নতুনত্বের দাবিদার।
এই বিজ্ঞানী দল এটিকে শিল্পগত ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। সেভাবেই কাচাকাচি করার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করতে চাচ্ছেন তারা। ড. রামনাথন তাই জানাচ্ছেন, ওয়াশিং মেশিনকে বিদায় দিতে এখনো হয়তো খানিকটা দেরি আছে। আরও অনেকগুলো কাজ করার বাকি।
টমেটো সস বা ওয়াইনের দাগ কত তাড়াতাড়ি তুলতে পারে এই প্রযুক্তি তা দেখে নিতে হবে। তবে আমাদের এ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে সেলফ-ক্লিনিং টেক্সটাইল আসার পথ আরো সুগম হলো।
সেদিন যে বেশি দূরে নেই এ ভরসা আমরা রাখতেই পারি, বলেন ড. রামনাথন।