September 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

আরজি কর ধর্ষণ কাণ্ডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি বিশেষ কন্ট্রোল রুমের নির্দেশ কেন্দ্রের  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

রজি কর হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীর ধর্ষণ-হত্যায় যখন সুপ্রিম কোর্ট ডাক্তারদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা প্ৰকাশ করে টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা বলেছেন। রাজ্য সরকারকে নানান নির্দেশিকা দিয়েছে, ঠিক সেই সময় কেন্দ্রের তরফেও এই মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল। আরজি কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে তৎপর হল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তায় যাতে কোনও খামতি না থাকে তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সেখানে পোস্টের থেকে সিসিটিভি যেমন রয়েছে তেমনিই আবার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মহিলা চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের যৌন হেনস্থা ও খুনের ঘটনা উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতির পাশাপাশি আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন ৭০ জন পদ্ম পুরস্কার পাওয়া চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন । সেখানে নিরাপত্তা তো বটেই নয়া আইন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গুরুতর এই পরিস্থিতির মাঝেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, দেশের সব কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে পোস্টার লাগাতে হবে। যেখানে লেখা থাকবে হাসপাতাল চত্বরে হিংসা ছড়ালে আইন অনুযায়ী শাস্তির বিধান। গোটা হাসপাতালকে মুড়ে ফেলতে হবে উন্নত মানের সিসিটিভি ক্যামেরাতে। হাসপাতালে ঢোকা-বেরনোর রাস্তা এবং স্পর্শকাতর জায়গায় বিশেষভাবে লাগাতে হবে সিসিটিভি। তৈরি করতে হবে কন্ট্রোল রুম। সেখানে সর্বক্ষণের নজরদারির জন্য নিরাপত্তারক্ষীকে রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত সংখ্যায় প্রশিক্ষিত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিতে। অবাঞ্ছিত কেউ যাতে হাসপাতালে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সে জন্য হাসপাতালে ঢোকা ও বেরনোর দরজায় কড়া নিরাপত্তা রাখতে হবে। একইসঙ্গে হাসপাতাল কর্মী, রোগী ও রোগীর পরিজনদের চিহ্নিত করার জন্য আলাদা ব্যাজের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতাল কর্মীদের জন্য পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

একইসঙ্গে গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দিতে হবে নিরাপত্তারক্ষীদের। এর জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর মক ড্রিলিংয়ের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্মী, চিকিৎসক, নার্সরা যাতে পরিস্থিতি সামলাতে পারেন তার জন্য তাঁদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, চিকিৎসকদের জন্য হাসপাতালে নিরাপদ ডিউটি রুমের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। রাতে মহিলা চিকিৎসকদের নিয়ে আসা ও নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

Related Posts

Leave a Reply