মাত্র ৩০ দিনেই গালের মেদ ঝরিয়ে তন্বী !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
শরীরের সঙ্গে সঙ্গে গালে, গলায় অতিরিক্ত মেদ জমার কারণে কি আপনি হীনমন্যতায় ভুগছেন? ডবল চিন, থলথলে মুখের জন্য বন্ধুদের কাছে হাসির পাত্র হতে হয়? আয়নায় নিজেকে দেখেই বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন? চিন্তা নেই। এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে। তাও আবার মাত্র এক মাসেই।
আসলে মুখের এমন কিছু অংশ রয়েছে যেখানে অতিসহজেই মেদ জমতে শুরু করে। এই মেদ জমেই মুখকে ফুলিয়ে দেয়। ডায়েটে ভারসাম্যের অভাব এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
তবে, গালের বা গলার মেদ কমানোর জন্য অনেকে অনেকরকম কৃত্রিম উপায়ের পরামর্শ দেবে। তবে এসব ক্ষেত্রে কোনও রকম অস্ত্রপোচার, প্লাস্টিক সার্জারি বা ওষুধের সাহায্য নেবেন না এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। সবসময় চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক উপায়েই সমস্যার সমাধান করতে।
মাত্র কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই অতি সহজেই আপনি একমাসের মধ্যে গালের মেদ ঝরাতে পারবেন। বেশি করে জল খান শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে জলের অভাব হলে শরীর চেষ্টা করে যতটুকু জল অবশিষ্ট রয়েছে তা শরীরে আটকে রাখতে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জল জমা হয় মুখের মধ্যে। তাই মুখ ফোলা ফোলা লাগে দেখতে। তাই মুখের ফোলা ভাব কমাতে সবচেয়ে সহজ উপায় হল বেশি পরিমানে জল খান। শরীরে জলের যেন ঘাটতি না হয় তা মাথায় রাখুন।
প্রসেস করা খাবার এড়িয়ে চলুন : আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে সসেজ, সালামি, রেডি টু ইট ন্যুডলস, ফ্রোজেন মাংস, জাতীয় প্রসেস করা খাবার খান তাতে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় কোনও পুষ্টি তো পায়ই না বরং তা শরীরে মেদ জমার পদ্ধতিতে ত্বরাণ্বিত করে। এই ধরণের খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে। যা শরীরের পাশাপাশি মুখের ফোলাভাবও বৃদ্ধি করে।
সোডা জাতীয় পানীয়কে বলুন না : সোডা জাতীয় পানীয়কে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম মিষ্টি বা চিনির ব্যবহার করা হয়। চিনির ফলে শরীরের ফ্যাট সেল গুলি আকারে বাড়তে থাকে। শরীরের পাশাপশি মুখের ক্ষেত্রেও একই জিনিস ঘটে। আর তাই অতিরিক্ত পরিমাণে সোডা জাতীয় পানীয় খেলে মুখ ক্রমে ক্রমে ফুলতে শুরু করে।
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন : অ্যালকোহল কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা দূর করতে পারলেও প্রত্যেকদিন নিয়মিত অ্যালকোহল পান শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল লা। শরীরের পাশাপাশি আপনার সৌন্দর্যের জন্যও ভাল না। কারণ অ্যালকোহলের জেরে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। আর জলের অভাবে কীভাবে মুখ ফুলতে শুরু করে তা আগেই জানানো হয়েছে।
চিনির পরিমান কম করুন : আপনি দৈনন্দিন যে পরিমান চিনি খান তা যদি বেশি হয় তাহলে আপনাকে এখনই সাবধান হতে হবে। কারণ অত্যধিক চিনি আপনার গাল ও গলায় মেদ জমাতে সাহায্য করে। তাই প্যাস্ট্রি, টকোলেট, ক্যান্ডি জাতীয় লোভনীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। না হলে পরে বিপদে কিন্তু আপনাকেই পড়তে হবে। তখন আর কোনও উপায় থাকবে না।
তাজা ফল বেশি করে খান : ফল আপনার শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থকে শরীরে থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এমনকী শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদও শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই শরীরের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি মুখের মেদও অনেকাংশেই কম হয়। তবে সেক্ষেত্রে আম, কলা জাতীয় ফল এড়িয়ে চলুন।
শাক সবজি পালং শাক, ব্রকোলি ইত্যাদি : বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক সবজি খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ভাল। এর থেকে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পায়। ক্যালসিয়াম শরীরে প্রয়োজনীয় জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে মুখের অতিরিক্ত মেদও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তিল খান মন খুলে : তিলের বীজেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই আপনার প্রত্যেক দিনকার খাবারে তিল যোগ করুন। এর ফলে আপনার মুখ ও গলার অতিরিক্ত মেদ ঝরতে শুরু করবে। আপনি ফের আগের মতো মুখের ধাঁচ ফিরে পেতে সক্ষম হবে।
নুনের মাত্রা কমান : নুন শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। নুন রক্তে মিশে জলে পরিণত হয়। এই জল শরীর থেকে বেরতে না পেরে শরীরের মধ্যেই জমতে শুরু করে। যার ফলে মুখ ফুলে যেতে শুরু করে। আর এর ফলে কিন্তু আপনার সৌন্দর্যও ধীরে ধীরে হারাতে শুরু করে।
বেশি করে বাদাম খান : শরীরের অতিরিক্ত মেদ থেকে ছুটকারা পেতে সবচেয়ে প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় বাদাম যোগ করুন। বাদাম অনেক সময় শরীরের অযাচিত মেদ নষ্ট করতে সাহায্য করে। তবে কখনওই অতিরিক্ত পরিমানে বাদাম বা কাঁচা বাদাম খাবেন না।