September 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

অবাক হবেন, মাদক নেওয়ার পরও এতদিন শরীরে থাকে

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মাদকদ্রব্য যে কোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর এবং তা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। তবে এ প্রভাবের মাত্রা বিভিন্ন মাদকের ক্ষেত্রে কম-বেশি হয়ে থাকে। এ লেখায় রয়েছে তেমন কয়েকটি মাদকের প্রভাব।
মাদক খাওয়ার মাধ্যমে, ধোঁয়া আকারে, ইঞ্জেকশন আকারে কিংবা অন্য যে কোনো উপায়েই হোক না কেন, দেহে গ্রহণ করার পর তার প্রভাব বেশ কিছুক্ষণ থেকে যায়। এছাড়া ড্রাগটি দেহে গ্রহণ করার পর সঙ্গে সঙ্গে তা দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়া শুরু হয়। এটি দেহের রক্ত, মূত্র ইত্যাদিতেও পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু মাদক দেহ থেকে কয়েক দিন পর চলে যায়। যেমন হেরোইন গ্রহণের তিন থেকে পাঁচ দিন পর তা আর মূত্র পরীক্ষায় পাওয়া যায় না।

বিভিন্ন মাদকের মধ্যে বিশ্লেষণে দেখা যায়, এলএসডি রক্তে দ্রুত কাজ করে এবং দ্রুত সে প্রভাব মিলিয়ে যায়। এর পরের স্থানে রয়েছে মরফিন ও হেরোইন। গবেষকরা বলছেন, এলএসডি মাত্র তিন ঘণ্টা রক্তে থাকে, মরফিন থাকে আট ঘণ্টা এবং হেরোইন, অ্যামফিটামাইন ও অ্যালকোহল থাকে ১২ ঘণ্টা। এছাড়া মিথামফিটামাইনস ৩৭ ঘণ্টা, এমডিএমএ, কোকেন, বার্বিটুরেটস থাকে ৪৮ ঘণ্টা। অন্যদিকে সবচেয়ে দীর্ঘক্ষণ থাকে গাঁজা। এটি গ্রহণের পর ৩৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত রক্তে পাওয়া যায়। এছাড়া মারিজুয়ানা ৩০ দিন পর্যন্ত রক্তে পাওয়া যেতে পারে।

তবে রক্তের নমুনায় যে মাদকগুলো দ্রুত মিলিয়ে যায় ঠিক সেভাবে মূত্রের নমুনা থেকে মিলিয়ে যায় না। গবেষকরা বলছেন এলএসডি ও অ্যামফিটামাইন তিন দিন পর্যন্ত মূত্রে পাওয়া যায়। এর পরের স্থানে রয়েছে এমডিএমএ, হেরোইন, কোকেন ও বার্বিটুরেটস। এগুলো চার দিন পর্যন্ত মূত্রে থাকে। অন্যদিকে অ্যালকোহল পাঁচ দিন এবং মরফিন ও মিথামফিটামাইনস ছয় দিন করে থাকে। গাঁজা থাকে ৩০ দিন পর্যন্ত।
তবে শুধু রক্ত ও মূত্রের নমুনায় নয়, চুলের নমুনাতেও মাদকের সন্ধান পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে এ প্রভাবটি থাকে এলএসডির ক্ষেত্রে তিন দিন পর্যন্ত। অন্য প্রায় সব মাদক চুলের নমুনায় পাওয়া যায় তা গ্রহণের ৯০ দিন পর পর্যন্ত।

Related Posts

Leave a Reply