অবাক হবেন জেনে, সময় ধরে মিলন দারুণ স্বাস্থ্যকর
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌনতা জীবনটাকে আরো বেশি উপভোগ্য করে দিতে পারে। দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক আরো বেশি গভীর করে দেবে। তাই আরো বেশি সেক্সের জন্যে সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। এর জন্যে ৬টি টিপস দিয়েছেন গবেষকরা।
১. বিচক্ষণ সময়সূচি নির্ধারণ করুন : সঙ্গী-সঙ্গিনীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে পারেন। কিভাবে সেক্স আরো বেশি উপভোগ্য হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করুন। সপ্তাহে কতবার কিভাবে হতে পারে তা নিয়ে দুজনই মতামত প্রকাশ করুন। দিনপঞ্জিকার পাতা ধরে সূচিটা প্রস্তুত করে ফেলতে পারেন।
২. কল্পনায় ভাসবেন না : এ নিয়ে সময়সূচি করতে গিয়ে কল্পনাপ্রবণ হলে চলবে না। পরিকল্পনাটা বাস্তবসম্মত হতে হবে। সব কাজ ও ব্যস্ততার সঙ্গে খাপ খাইয়ে এবং স্বাস্থ্যকরভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এটি করতে গিয়ে কামসূত্র বা পর্ন সিনেমার চিন্তায় অস্থির হলে চলবে না।
৩. প্রযুক্তির সহায়তা নিন : সপ্তাহে কখন কিভাবে সেক্সটাকে উপভোগ্য করা যায় ইত্যাদি বিষয়ে স্মার্টফোনের ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা যায়। আগাম অ্যালার্ম দিয়ে রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাতে কিছু রোমান্টিক কথার যোগ ঘটতে পারে। এতে আগে থেকেই শিহরণ জাগবে মনে।
৪. পুরনো ইমেইল বা চিঠিগুলো দেখুন : সঙ্গী-সঙ্গিনীর দেওয়া পুরনো দিনের চিঠি বা উপহারগুলো দেখতে পারেন। এতে আবেগ চলে আসবে। অপরজনের প্রতি আকর্ষণবোধটা আরো তীব্র হবে। যেদিন প্রথম ডেটিং করেছিলেন, প্রথম যে উপহারটা দিয়েছিলেন ইত্যাদি নিয়ে স্মৃতি ভেসে যান। বিষয়টা আরো বেশি আবেগময় হবে।
৫. অন্তরঙ্গতার জন্যে সময় বেঁধে রাখুন : দুজনের সম্পর্ককে আরো মধুর করতে অন্তরঙ্গ সময়ের কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমেই সেক্স আরো বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। অন্তরঙ্গ সময়টাকে আরো বিস্তৃত করতে এবং সেক্সে আরো রং ছড়াতে বিশেষ সময় বাঁচিয়ে রাখুন এর জন্যে। প্রত্যেক সময়সূচিতে অন্তরঙ্গতার জন্যে আলাদা সময় বেঁধে দিন।
৬. ক্লান্তি কোনো অজুহাত নয় : হতে পারে ক্লান্তি চলে এসেছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আপনি। সময়সূচি অনুয়ারি কাজটি করে ফেলা ভালো। তা ছাড়া সেক্স ক্লান্তি-অবসাদ দূর করে। তাই সময় ধরে বিষয়টা উপভোগ করতে মন্দ হবে না মোটেও। অন্তত এমনটাই বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস।