মমতার পরই রাজ্য নিরাপত্তা কমিশনের দ্বিতীয় সদস্য শুভেন্দু
পদাধিকার বলে কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন, রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিশের ডিজি, অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়, রাজ্য মহিলা কমিশনের সভানেত্রী লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী, এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মৃণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ও নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি।
বস্তুত রাজ্যে এই কমিশন দীর্ঘদিন ধরেই ছিল না। তার দায় অবশ্য পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়। বাম জমানাতেই এই কমিশনকে ভোঁতা করা হয়েছিল। সেই জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারকে ভর্ৎসনাও করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু একুশের ভোটের পর থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি তুলতে শুরু করেন এই কমিশন গড়তেই হবে। গত বছর জুন মাসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে দাবিপত্র পেশ করেন তিনি। তাতে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে প্রকাশ সিং বনাম কেন্দ্রীয় সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একটি মাইলফলক রায় দিয়েছিল। সেই রায়ে বলা হয়েছিল, সমস্ত রাজ্যকে নিরাপত্তা কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশন রাজ্যে পুলিশি কার্যকলাপের উপর নজর রাখবে। এমন ভাবে এই কমিশন গঠন করতে হবে যাতে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি স্বাধীন কমিটি হিসাবে এর অস্তিত্ব থাকে