November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি

করোনা কালেও মজা নিতে পারেন টেবিল ফর ওয়ান’ রেঁস্তোরার, দড়ি বেয়ে ঝুঁড়িতে আসবে খাবার!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টিকারী নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অপরিহার্য। আর এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। বন্ধ হয়ে গেছে বেশির ভাগ দোকানপাট, রেস্তোরাঁ থেকে কারখানা।

সুইডেনেও জোর দেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্বের উপর। বেশ কিছু কাল লোকডাউন চলার পর খুলেছে বেশ কিছু রেস্তরাঁ কিন্তু সেখানে খুব কম সংখ্যক ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটা টেবিলের মধ্যে দূরত্বও বজায় রাখা হচ্ছে নিয়ম মেনে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও ক্রেতাদের সামনে কী ভাবে সুস্বাদু খাবার হাজির করানো যায়, তার এক অভিনব উপায় বের করলেন সুইডেনের এক দম্পতি। ওই দম্পতির নাম রাসমুস পারসন এবং লিন্ডা কার্লসন। খুব তাড়াতাড়ি এই অভিনব উপায় নিয়ে নতুন রেস্তোরাঁ খুলতে চলেছেন তারা। যার নাম রাখা হয়েছে ‘টেবিল ফর ওয়ান’।

কেন অভিনব বলা হচ্ছে একে? নাম থেকেই কিছুটা পরিষ্কার বিষয়টা। টেবিল ফর ওয়ান অর্থাৎ এখানে একটিই মাত্র টেবিল থাকবে এবং মাত্র একজন ক্রেতাই আসতে পারবেন এই রেস্তোরাঁয়।

কী রকম সেই রেস্তোরাঁ? মাঠের মধ্যে থাকবে একটি টেবিল-চেয়ার। তার কাছেই থাকবে রান্নাঘর। তবে খাবার পরিবেশনকারী বা অর্ডার নেওয়ার জন্য আলাদা করে কেউ থাকবেন না। ক্রেতা সরাসরি রান্নাঘরে থাকা রাঁধুনীর সঙ্গে কথা বলে খাবারের অর্ডার দেবেন। তারপর সেই খাবার সরাসরি রান্নাঘর থেকে দড়িতে ঝোলানো একটি বাক্সের মধ্যে পৌঁছে যাবে ক্রেতার কাছে।

একেবারে ঘরোয়া উপায়ে বানানো হবে সমস্ত খাবার। ফার্মে যা সবজি সে সময় থাকবে, সেগুলো দিয়েই বানানো হবে খাবার।

সারা দিনে ওই একজন ক্রেতাকেই খাবার পরিবেশন করবে রেস্তোরাঁটি। হাইজিন বজায় রাখতে দিনে দু’বার টেবিল-চেয়ার এবং খাবার প্লেটের জীবাণু পরিষ্কার করা হবে।

সারা দিনে মাত্র এক জন ক্রেতা নিয়ে কীভাবে চলবে রেস্তোরাঁ? নিশ্চয় ভাবছেন। যদি আপনার মনেও এ রকম প্রশ্ন আসে, তা হলে কিছুটা ভুলই ভাবছেন। মালিক পারসন এবং কার্লসন দম্পতি একেবারেই তেমন মনোভাব নিয়ে রেস্তোরাঁটি চালু করেননি। এখানে ইচ্ছামতো টাকা দেওয়ার ছাড় দিয়েছেন তারা।

কার্লসন জানাচ্ছেন, এই মহামারির কারণে অনেকেই কাজ হারাবেন, অনেকেই তাদের প্রিয় জনকে হারাবেন, তারা হয়তো খুব খারাপ মানসিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাবেন। তাই তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা না ভেবে সকলকেই আমরা স্বাগত জানাচ্ছি রেস্তোরাঁয়।

পারসন এবং কার্লসন মনে করেন, তাদের এই অভিনব চিন্তা একজন কাজহারা বা প্রিয়জনহারা মানুষকে বাঁচার নতুন দিশা দেখাবে। নিজের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে সাহায্য করবে।

Related Posts

Leave a Reply