দেখে নিন এমন কিছু প্রাণীকে যারা আজ বিলুপ্ত
কলকাতা টাইমসঃ
চিনে নিন এমন কিছু প্রাণীকে যারা আজ বিলুপ্ত
Tasmanian Tiger: অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ায় পাওয়া যেত এই বাঘ। যখন তখন লোকালয়ে ঢুকে পোষ্য প্রাণী খেয়ে ফেলত বলে এদের মেরে ফেলা হয়। ১৯৩৬ সালে হোবার্টে চিড়িয়াখানায় শেষ দেখা গিয়েছিল এই বাঘ।
Quagga: ‘কোয়া-হা-হা’ এই শব্দে ডাকত বলেই জেব্রা প্রজাতির এই প্রাণীদের এমন নাম দেওয়া হয়েছিল। শরীরের কিছু অংশ বাদামি এবং কিছুটা সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগ দেখতে পাওয়া যেত। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া যেত এদের। এখন আর এর অস্তিত্ব নেই। ১৮৮৩ সালে শেষ দেখা গিয়েছিল আমস্টারডামের একটি চিড়িয়াখানায়।
Heath Hen: আমেরিকার পূর্ব উপকূলে এদের প্রচুর পরিমাণে দেখা যেত। প্রচুর পরিমাণে শিকার এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে একেবারে লুপ্ত হয়ে যায় এই মুরগি। ১৯৩২ সালে শেষ দেখা গিয়েছিল এদের।
Passenger pigeons: উত্তর আমেরিকায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত এদের। সুস্বাদু মাংসের জন্য নেটিভ আমেরিকানরা এদের শিকার করতে শুরু করে। ফলে এর সংখ্যা কমতে কমতে ১৮৯০ সালের মধ্যে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। মারথা নামে এই প্রজাতির শেষ পায়রাটি বেঁচে ছিল সিনসিনাটি চিড়িয়াখানায়। ১৯১৪ সালে সেটিও মারা যায়।
Pyrenean Ibex: স্পেন ও ফ্রান্স জুড়ে বিস্তৃত পাইরিনি পর্বতমালায় এবং উত্তর এশিয়া ও আফ্রিকায় এই বুনো ছাগল দেখা যেত। ২০০০ সালে এদের বিলুপ্ত ঘোষণা করেন প্রাণীবিদরা।
Syrian wild ass: এই প্রজাতির গাধা এখন আর দেখা যায় না। ১৫-১৬ শতকে ইরাক, ইসরায়েল, সিরিয়া, সৌদি আরব, তুরস্কে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত এদের। মূলত মরুভূমি এবং রুক্ষ অঞ্চলে এদের দেখা পাওয়া যেত। ১৮-১৯ শতকে চোরাশিকার এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে এই প্রাণীদের উপর। ভিয়েনায় শেষ বুনো গাধাটির মৃত্যু হয় ১৯২৮-এ।
বাইজি ডলফিন: চীনে এদের ‘গডেস অফ ইয়াংসি’ বলা হয়। খুব শান্ত স্বভাবের হালকা গোলাপি রঙের হতো এই ডলফিন। ইয়াংসি নদীতে মাত্রাতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে আজ এরা বিলুপ্ত। ২০০৬ সালে এই ডলফিনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে চীন।
Java Tiger: ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ৬০-এর দশকে দেখা মিলত এই বাঘের। ক্রমে জঙ্গল কমে আসায় এবং চোরাশিকারের কারণে এই বাঘ বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৯৮০ সালে শেষ দেখা গিয়েছিল এই বাঘ।
The Golden Todd: ১৯৮৯ সালে এই ব্যাঙ শেষ বার দেখা গিয়েছিল কোস্টারিকার মন্তেভেরদেতে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, উষ্ণায়ণের কারণেই হারিয়ে গিয়েছে এই ব্যাঙ। ১৯৬৪’তে এই ব্যাঙ প্রথম আবিষ্কার করেন হার্পেটোলজিস্ট জে স্যাভেজ।