সংবাদমাধ্যমে ভুলেও জীবন্ত বস্তুর ছবি দেখিয়েছে কি শেষ
কলকাতা টাইমস :
২০২১ সালে ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকে একের পর এক অমানবিক নিয়ম-বিধি লাগু করেছে তালিবান সরকার। বিশেষ করে দেশের মহিলাদের শিক্ষা থেকে শুরু করে জীবন-যাপন সব কিছুকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে সমস্ত বিধি-নিষেধ বলবৎ করা হয়েছে তাতে নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু তাতে তালিবান সরকারের যে কোনও ফারাক পড়েনি তারই বর্তমান নির্দেশন আফগানিস্তানের নৈতিকতা মন্ত্রকের ঘোষণা। যেখানে বলা হয়েছে, কোনও জীবন্ত বস্তুর ছবি প্রকাশ ইসলামি আইনের পরিপন্থী। তাই সংবাদমাধ্যমে কোনও জীবিত ব্যক্তি ও প্রাণীর ছবি প্রকাশ করা যাবে না। এই মর্মেই নয়া আইন আনছে তালিবান।
তবে এই আইন জোর করে বলবৎ করবে না তালিবান। অন্তত এমনই দাবি তাদের। জেহাদিদের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, ”গোটা আফগানিস্তানে এই আইন চালু হবে। মানুষকে বোঝানো হবে এগুলো শরিয়া আইনের পরিপন্থী। তাই অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত।”
নতুন আইনে আরও বলা হয়েছে, জীবন্ত প্রাণীর ছবি প্রকাশের পাশাপাশি ইসলামি আইনকে অবজ্ঞা করা যাবে না। কোনওভাবেই ইসলামের অবমাননা বা ব্যঙ্গ করা যাবে না। তবে এও বলা হয়েছে, আইনগুলি লাগু করার ক্ষেত্রে নাকি তেমন কঠোর পদক্ষেপ করবে না তালিবান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে রাজত্ব করে তালিবান। তারপর ফের ২০২১ সালে নতুন আফগানিস্তান দখল করে জেহাদিরা। ক্ষমতায় আসার পর যদিও তারা দাবি করেছিল এটা নতুন তালিবান, অচিরেই দেখা যায় তালিবান আছে তালিবানেই। শুরু হয় একই রকমের আগ্রাসন। বিশেষত নারী স্বাধীনতা চলে যায় তলানিতে। গত এক বছরে ২১ হাজার ৩২৮টি বাদ্যযন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েক হাজার কম্পিউটার অপরেটরকে অনৈতিক সিনেমা ছড়ানোয় বাধা দেওয়া হয়েছে।