দিনমজুরের ছেলে থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
কলকাতা টাইমস :
ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস পিটি টোকোপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তানুউইজাইয়া উইলিয়াম এর বাবা কারখানার একজন শ্রমিক। ইন্দোনেশিয়ায় স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইনে দ্রুত কেনাকাটা করার আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার পেছনে যদি কারও কৃতিত্ব থেকে থাকে তবে তিনি উইলিয়াম। ই-কমার্স এই মার্কেটপ্লেসের বর্তমান মূল্য ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। সফ্টব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার উত্তোলনের পর এই মুহূর্তে টোকোপিডিয়া ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান স্টার্টআপ হয়ে উঠেছে।
ইন্দোনেশিয়ার অনলাইন অর্থনীতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত বর্ধনশীল। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটির ই-কমার্স খাতের বাজার পৌঁছাতে পারে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে। এসব তথ্য জানিয়েছে অনলাইন সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল এবং টেম্যাসেক হোল্ডিংস পিটিই। এতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত টোকোপিডিয়া তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য আরও শক্তিশালী প্রতিযোগিতা তৈরি করতে চলেছে।
বেইন অ্যান্ড কম্পানির জাকার্তাভিত্তিক অংশীদার উসমান আখতার বলেন, ‘সম্প্রতি টোকোপিডিয়া এই সময়ের একটি বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এটি অসামান্য অগ্রগতি করেছে। যে হারে নতুন এবং বড় তহবিল আসছে তার মানে হলো, প্রধান বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যতে একীভূত বাজারে এর সমূহ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন।’
তবে টোকোপিডিয়া কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সফটব্যাংকও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বাজার গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান আইপ্রাইস গ্রুপ বলছে, টোকোপিডিয়া তৃতীয় কোয়ার্টারে ইন্দোনেশিয়ায় ১ নম্বর স্থানে ছিল।
তানুউইজাইয়া বলেছেন, সফটব্যাংকের কোটিপতি প্রতিষ্ঠাতা মাসায়শির সনের সঙ্গে তার প্রথম বৈঠকই এই কম্পানির জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ইন্দোনেশিয়ার প্রথম অনলাইন শপিং হাব তৈরির ধারণাটির জন্য টাকা তুলতে ২০১৪ সালে ১১ বার বৈঠক করেন তিনি।
২০১৩ সালের এক সাক্ষাৎকারে তানুউইজাইয়া বলেছিলেন, ‘যারা আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা কেবল আমার অতীত সম্পর্কে আম