চায়ের পাতার নির্যাসেই ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ধ্বংসের ক্ষমতা
কলকাতা টাইমস :
চায়ের পাতা থেকে বের করে আনা অতি সূক্ষ্ম উপাদানগুলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। ভারত ও ব্রিটেনের একদল বিজ্ঞানী তাদের গবেষণায় জানান, চায়ের পাতার অতি সূক্ষ্ম উপাদানসমৃদ্ধ নির্যাস ফুসফুসের ক্যান্সার কোষের বিস্তার থামিয়ে দিতে সক্ষম। অ্যাপ্লাইড ন্যানো ম্যাটেরিয়ালস জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণায় চায়ের পাতা থেকে ক্যান্সারপ্রতিরোধী তেমনই এক সূক্ষ্ম উপাদান ‘কোয়ান্টাম ডটস’ উৎপাদনের পদ্ধতির কথাও জানানো হয়েছে।
ব্রিটেনের সোয়ানসি ইউনিভার্সিটির সুধাগার পিটচাইমুথু বলেন, আমাদের গবেষণা মূলত পূর্বের এক গবেষণার সত্যতা তুলে ধরে। সেখানে বলা হয়েছিল, কোয়ান্টাম ডটস বানানোর ক্ষেত্রে রাসায়নিক পদার্থের সঙ্গে এক বিষমুক্ত উপকরণ হতে পারে চায়ের পাতার নির্যাস। এই ডটস ফুসফুসে ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি থামিয়ে দিতে সক্ষম।
রাসায়নিকভাবে তৈরি করা যায় কোয়ান্টাম ডটস। কিন্তু এ প্রক্রিয়া জটিল এবং খরচবহুল। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বেশ বিষাক্ত। কিন্তু কেএস রাঙ্গাসামি কলেজ অব টেকনলজি এবং তামিল নাড়ুর ভারাথিয়ার ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা যৌথভাবে চায়ের পাতা থেকে কোয়ান্টাম ডটস বানানোর প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন। এমনিতেই চায়ের পাতায় নানা ধরনের উপকারী উপাদান রয়েছে। পলিফেনল, অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে এতে।
চায়ের পাতার নির্যাসের সঙ্গে ক্যাডমিয়াম সালফেট এবং সোডিয়াম সালফেটের মিশ্রণতে ইনকিউবেটরে দেয়া হয়। এতে কোয়ান্টাম ডটস সৃষ্টি হয়। পরে তা ফুসফুসের ক্যান্সার কোষের প্রয়োগ করা হয়। এর কার্যকারিতা তুলনা করা হয়েছে রাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে যাদের ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুসের ক্যান্সারের বৃদ্ধি ঠেকাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে চায়ের পাতা থেকে তৈরিকৃত কোয়ান্টাম ডটস। পরীক্ষায় এই সূক্ষ্ম উপাদানের প্রয়োগে ৮০ শতাংশ ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ মেরে ফেলা সম্ভব হয়েছে। ক্যান্সারের চিকিৎসায় তাই চায়ের পাতা থাকে উৎপাদিত কোয়ান্টাম ডটস এখন নতুন সম্ভাবনা দেখাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।