ট্যারানটুলা বার্গার খাইয়েও কি সারল এই অসুখ! – KolkataTimes
May 13, 2025     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ট্যারানটুলা বার্গার খাইয়েও কি সারল এই অসুখ!

[kodex_post_like_buttons]

 

একেক মানুষের একেক ভীতি থাকে। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মানুষের সম্ভবত অ্যারাকনোফোবিয়া আছে। একে বলে মাকড়সাভীতি। ছোট থেকে বড়, এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ঘরে একটা মাকড়সা দেখলে আর সেই ঘরে কোনভাবেই ঢুকতে চান না। কিন্তু এই ভয় তাড়াতে যদি কাউকে মাকড়সা খাওয়ানো হয় তো তার কী অবস্থা হবে!

নর্থ ক্যারোলিনার ঘটনা। এক নারীর মাকড়সাভীতি তাড়াতে তাকে ডিনারে দেওয়া হয়েছে মাকড়সার বার্গার। তাও যেনতেন মাকড়সা নয়, বিশ্বের বিষাক্ততম ও ভয়ঙকরতম ট্যারানটুলার বার্গার!

এই বিদঘুটে খাবার ইতিমধ্যে কম্বোডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উটেছে। নর্ত ক্যারোলিনার বুল সিটি বার্গার অ্যান্ড ব্রিওয়েরির মালিক সেথ গ্রস বলেন, তিনি খাবারের এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সঙ্গে মানুষের পরিচয় ঘটাতে চান। আর এ পদ্ধতিতে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা দেওয়া যাবে।

গ্রস প্রতিমাসে মাত্র ১৫টি করে ট্যারানটুলা মাকড়সা পান। এই ভীতিকর ও গা শিউরানো প্রাণীটিকে একেবারে ভেজে ফেলা হয়। এর স্বাদ তখন অনেকটা চিপসের মতো হয়।

তাই বলে সেখানে গিয়ে পয়সা দিলেই এই খাবার পাওয়া যাবে না। যারা খেতে চান তারা একটি লটারি টিকিটে নাম লিখবেন। লটারি হবে। নাম উঠলেই পাবেন ট্যারানটুলা বার্গার। আর লটারি মিলে গেলে পুরস্কার পেতে ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হবে।

ক্রিস্টিন বার্নাবির মাকড়সাতে অসম্ভব ভয়। তিনি এই ভয় তাড়াতে ট্যারানটুলা বার্গার খেয়েছেন। তার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে বলেন, এটাকে আমার আলুর চিপস বলে মনে হয়েছে। তা ছাড়া আমি বিদঘুটে খাবার খেতে পছন্দ করি।

Related Posts

Leave a Reply