তৈরী থাকুন : সোশ্যাল ডিস্টেনসিনে সূর্য , ধেয়ে আসছে ভয়াবহ দুর্যোগ
কলকাতা টাইমস :
করোনার এই দুঃসময়ে অর্ধেক পৃথিবীর মানুষ রয়েছেন লকডাউনে। আর এর মধ্যেই খারাপ খবর শোনালেন বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, সূর্যও লকডাউনে গেছে। এই কারণে শীতল আবহাওয়া, ভূমিকম্প এবং দুর্ভিক্ষের মতো ভয়াবহ দুর্যোগ আসতে পারে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. টনি ফিলিপস বলেন, সূর্য ‘সোলার মিনিমাম’ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এটি অত্যন্ত গভীর। সানস্পট গণনা থেকে বোঝা যাচ্ছে এটি বিগত শতাব্দীর সবচেয়ে গভীরতম অবস্থানে রয়েছে। সূর্যের চৌম্বকীয় শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে সৌরজগতে অতিরিক্ত মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশ করতে পারে।
সৌরজগতে অতিরিক্ত মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশ করলে নভোচারী ও মেরুঅঞ্চলের জন্য তা হবে বিপজ্জনক। এছাড়া এটি পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলের বৈদ্যুতিক-রসায়নকে প্রভাবিত করে এবং বজ্রপাতও বাড়াবে বলে জানা তিনি।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সূর্যের এই লকডাউনে যাওয়ার ঘটনায় ‘ডাল্টন মিনিমাম’র পুনরাবৃত্তি হতে পারে। ওই ঘটনা ঘটেছিল ১৭৯০ ও ১৮৩০ সালের মধ্যে। তখন সূর্যের মিনিমাম সোলারের কারণে তীব্র শীতের মুখে পড়েছিল পৃথিবী। এছাড়া ফসলের ভয়াবহ ক্ষতি, দুর্ভিক্ষ এবং শক্তিশালী আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ঘটনা ছিল তখন।
ওই ঘটনার ফলে ১৮১৫ সালের ১০ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার তামবোরা পর্বতশৃঙ্গে দুই হাজার বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। সেই অগ্নুৎপাতে মুহূর্তেই অন্তত ৭১ হাজার মানুষ মার যান। ১৮১৬ সালে বিশ্বের অনেক দেশে গ্রীষ্মকালই দেখা যায়নি। এমনকি জুলাইয়ের গরমের দিনও আমেরিকায় ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তখন তুষারপাত হয়। তখন ওই সালটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘এইটিন হান্ড্রেড অ্যান্ড ফ্রজ টু ডেথ’।