আত্মহত্যাগামীকেও বাঁচাতে পারবেন যেভাবে
কলকাতা টাইমস :
হতাশা বা অন্য কোনো কারণে অনেকেই ওষুধ ও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এমন পরিস্থিতিতে আশপাশের মানুষেরা তাদের নিয়ে কী করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। অনেক সময় সিদ্ধান্তহীনতাতেও অনেকের জীবন সংশয় হয়ে যায়। তাই করণীয়গুলো জেনে রাখুন।
লোকলজ্জা নয়, দ্রুত হাসপাতালে নিন
কেউ যদি বিষপান করেন বা এ জাতীয় কোনো ওষুধ সেবনে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান, তাহলে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে-দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব কাছের কোনো হাসপাতালে নিতে হবে। অনেকে মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে বাড়িতে ওঝা বা হাতুড়ে এনে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার চেষ্টা করে মূল্যবান প্রাণ নষ্ট করেন।
মনে রাখবেন, বিষপানের পর এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনতে পারলে চিকিৎসকদের চিকিৎসা করা সহজ হয়। কারণ, এ সময়ের মধ্যে এলে পাকস্থলী থেকে অশোষিত বিষ বের করার জন্য স্টমাক ওয়াশ (পাকস্থলী পরিষ্কার) করা যায়। এ সময়ের পর হাসপাতালে এলে স্টোমাক ওয়াশ করালে যতটা লাভ হওয়ার কথা, সে পরিমাণ হয় না।
অবশ্য সব ধরনের বিষ বা ওষুধ সেবনে স্টমাক ওয়াশের দরকার নেই। কোন ক্ষেত্রে পরিষ্কার করতে হবে, সেটি চিকিৎসকই ঠিক করবেন। চিকিৎসককে স্টমাক ওয়াশ করার জন্য অযথা জোরাজুরি করবেন না।
কাপড়চোপড় পরিবর্তন ও শরীর ধোয়া
কীটনাশকজাতীয় বিষ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা হলে এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বিষ শরীরে বা কাপড়চোপড়ে লাগলে সেখান থেকে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই বিষপান করলে কাপড়চোপড় খুলে শরীর পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে পারেন।
অপচিকিৎসা নয়
বিষপান করলে অনেকেই বিষ্ঠা কিংবা গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করানোর চেষ্টা করেন। এটি ঠিক নয়। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন অবস্থায় থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; এতে ঝুঁকি আরো বাড়ে। কেরোসিন বা অ্যাসিড পান করিয়েও বমি করানোর চেষ্টা করবেন না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
ওষুধের বা বিষের তথ্য
ওষুধ সেবন করলে ব্যবহৃত ওষুধের খোসা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসুন। চিকিৎসা দিতে সুবিধা হবে।
পরবর্তীতে সতর্ক হোন
একটি কথা মাথায় রাখবেন, যে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে, সে এটা বারবারই করবে। তাই দেরি না করে সুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
শিশু সাবধান
শিশুরা ভুল করে ওষুধ সেবন, অ্যাসিড সেবন বা বিষপান করতে পারে। তাই এগুলো হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।