November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ওপার বাংলা

যে কারণে বাংলাদেশের অর্ধেক নারীই প্রায় অর্ধেক ?

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বিভিন্ন দেশে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে খর্বাকৃতির হার বেশি। কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র এর ঠিক উল্টো। এদেশের ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের ৪৪ শতাংশই খর্বাকৃতির, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক। অন্যদিকে পাশের দেশ ভারতে এ সংখ্যাটি এক-তৃতীয়াংশ।

সম্প্রতি ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য প্রটেকশন অফ চিলড্রেন’ উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ‘এন্ড অফ চাইল্ডহুড’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন তৈরি করে শিশু বিষয়ক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। সেখানেই উঠে এসেছে এসব তথ্য।

প্রতিবেদনে ১৭২টি দেশের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪ নম্বরে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়- শৈশব মানে শিশুরা নিরাপদ বোধ করবে, খেলবে এবং শিখতে শিখতে বেড়ে উঠবে। কিন্তু বিশ্বের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন শিশুর শৈশব হারিয়ে গেছে।

৭০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু এমন সমাজে বাস করে, যেখানে তারা অন্য শিশুদের মতো স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি সুবিধা পায় না। রোগ, অপুষ্টি, বোমা, বুলেট– এসব বিষয় শিশুদের শৈশব কেড়ে নিয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

প্রতিবেদন বলছে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, যেমন- দক্ষিণ এশিয়ায় ছেলেকে অগ্রাধিকার দেয়ার কারণে ওই অঞ্চলের কিশোরীদের শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে দেখা যায়, কয়েকটি দেশের প্রায় অর্ধেক কিশোরী আকারে ছোটখাটো।

সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, শিশু যদি পর্যাপ্ত খাবার ও পুষ্টি না পায়, তাহলে তাদের শারীরিক বৃদ্ধি যথেষ্ট নাও হতে পারে। সংস্থাটি ১০টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে বিশ্বের মোট খর্বাকৃতি শিশুর (৫ বছরের কমবয়সী) দুই-তৃতীয়াংশ বাস করে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আছে আট নম্বরে। বাংলাদেশের প্রায় ৫৫ লাখ শিশুর দৈহিক আকার এমন বলে জানানো হয়েছে।

‘এন্ড অফ চাইল্ডহুড’ সূচক অনুযায়ী, পশ্চিম ও সেন্ট্রাল আফ্রিকার শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তালিকার একেবারে শেষ দশটি দেশের সাতটিই ওই অঞ্চলের। তালিকার শীর্ষে যৌথভাবে আছে নরওয়ে ও স্লোভেনিয়া।

Related Posts

Leave a Reply