November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

বিদেশিনীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো এক ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে

[kodex_post_like_buttons]

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ভারতের কেরালার ক্যাথলিক ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে। তার নাম ফাদার থমাস থান্নিনিলকুমথাসাথিল (৩৫)। তিনি কেরালার কোত্তায়াম জেলার পেরুমতুরুথু’র সেন্ট ম্যাথিউজ চার্চে বিশপের প্রতিনিধি। ওই ঘটনায় থমাসকে বহিস্কার করেছে চার্চ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ফাদার থমাস। তার বিরুদ্ধে কাদুথুরুথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

কোত্তায়ামের কাদুথুরুথি পুলিশকে ৪৩ বছর বয়সী ওই ধর্ষিতা জানান, ফেসবুকের মাধ্যমেই ওই ক্যাথলিক ধর্মযাজকের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর কেরালা আসার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানান ওই ধর্মযাজক। তার আমন্ত্রণেই গত ১৩ ডিসেম্বর ওই মহিলা তার ব্রিটিশ পুরুষ বন্ধু সেনেডি মেইনডিকে নিয়ে কেরালার কাদুথুরুথি এলাকায় আসেন। প্রায় এক সপ্তাহ সেখানে ছিলেন। এই সময়ে থমাস তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনার পর পুলিশে কোনো অভিযোগ না করেই ৭ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে চলে যান তিনি। পরে ১২ জানুযারি লন্ডনে চলে যান। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফের কেরালা সফরে আসেন ওই মহিলা। এসে ওই ধর্মযাজকের সাথে কুমারাকোমে একটি হোটেলে সাক্ষাৎ করেন। এসময় সেই মহিলার সোনার গয়নাসহ বেশ কিছু মূল্যবান জিনিস চুরি যায়।

গত বুধবার অভিযুক্ত ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানান ওই নারী। ধর্ষণের পাশাপাশি থমাসের বিরুদ্ধে গয়না, মোবাইল ফোন এবং ১৩০০ ব্রিটিশ পাউন্ড চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। মহিলার দাবি, ফাদার থমাস পুরো ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করেছেন এবং তাঁকে বিয়ে করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কাদুথুরুথি থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর কে.পি.থমসন জানান, ওই নারীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই ধর্মযাজক ধর্ষণ করেন। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। কেরালার ভাইকম সহকারী পুলিশ সুপার কে.সুভাষ জানান, সেই মহিলাকে কোত্তায়ামে সরকার পরিচালিত মহিলা মন্দিরাম হোমে পাঠানো হয়েছে।ওই ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও  চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত মাসে ওই ধর্মযাজকের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের সময়ই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। সেসময় ওই মহিলা অভিযোগ না জানিয়ে কেন আমেরিকায় চলে গেলেন আমরা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি। তদন্তের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ধর্ষিতার মেডিকেল টেস্টও করা হবে।

২০০৮ সালে ওই ক্যাথলিক ধর্মযাজককে সেন্ট ম্যাথিউজ চার্চে নিয়োগ করা হয়েছিল। চার্চ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তের অসদাচরণ সম্পর্কে জানা যায়। এরপরই বিশপ হাউজে তাকে রিপোর্ট করতে বলা হয়। ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করেই সমস্ত কর্তব্য থেকে থমাসকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশকে সবরকম সহায়তা করা হবে।

 

Related Posts

Leave a Reply