৩ হাজারের শাস্তি-মৃত্যু দাঁড়িয়ে দেখেছেন এই মহিলা !
২০০০ সালে প্রথমে মিচেল এই মৃত্যুকে দেখেছেন একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে। এরপর টিডিসিজে-এর মুখপাত্র হিসেবে মৃত্যুকে সামনে থেকে পরখ করাই ছিল তাঁর কাজ। এসব মৃত্যুকে খুব নিকট থেকে দেখতে গিয়ে তাঁর নিজের ওপরও গভীর প্রভাব পড়েছিল। ১২ বছর ধরে প্রত্যক্ষ করা মৃত্যুর ঘটনাগুলো নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে তাঁর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘ডেথ রো: দি ফাইনাল মিনিটস’। এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি মিচেল জানিয়েছেন নিজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার কথা।১৮ বছর আগে প্রথম যে মৃত্যুর ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছিলেন লায়ন্স, সেটি এখনো ভুলতে পারেননি। তাঁর চোখের সামনেই নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিল রিকি ম্যাকগিনের দেহ।
ম্যাকগিনের মতো আরো অনেকের চেহারা তাঁর স্পষ্ট মনে আছে। যদিও কী ছিল তাদের অপরাধ, কী ছিল তাদের নাম সেইসব কিছু আজ আর তাঁর মনে নেই। ১৭ বছর বয়সী নেপোলিয়ন বিজলে’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর অফিস থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় সারা পথ ধরে অঝোরে কেঁদেছিলেন লায়ন্স। তার শুধু বারবার মনে হচ্ছিল, বেঁচে থাকলে ছেলেটি হয়তো সমাজের কাজে আসতে পারতো। এমন ভাবনা মনে আসায় তিনি আবার মানসিক টানাপড়েনেও থেকেছেন। কারণ নেপোলিয়ন বিজলে’র অপরাধও ছিল গুরুতর। তাই, তিনি এটিও ভেবেছেন যে, বিজলের হাতে যিনি খুন হয়েছিলেন লায়ন্স নিজে যদি সেই পরিবারের কেউ হতো তাহলে তার মৃত্যুদণ্ডই হয়তো চাইতেন তিনি।
এখন ইনজেকশন দিয়ে মৃত্যু কার্যকর করা হলেও একসময় তা করা হতো ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে। ১৯২৪ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত এভাবেই ৩৬১ জনের শাস্তি কার্যকর হয়েছে। ১৯৭২ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই আদেশে মৃত্যুদণ্ডকে ‘নৃশংস’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। কিন্তু এই আদেশের কিছু দিনের মধ্যেই আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনার দাবি ওঠে। শেষপর্যন্ত নিষিদ্ধ হওয়ার দু’বছরের মধ্যেই টেক্সাসে আবারো ফিরিয়ে আনা হয় মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান। উল্লেখ্য, টেক্সাসে অন্য যে কোনো অঙ্গরাজ্যের চেয়ে বেশি সংখ্যায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কেবল ২০০০ সালেই সেখানে এই শাস্তি পেয়েছে ৪০ জন অপরাধী।