September 30, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

শুধু রোগ  নয়, বাড়ির বাস্তুও নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাকোয়ারিয়াম 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
কাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, একাধিক বাস্তু শাস্ত্র সম্পর্কিত বইয়েও এমনটা উল্লেখ রয়েছে যে বাড়ির একটি নির্ডিষ্ট জায়গায় মাছেদের থাকার ব্যবস্থা করলে সুখ সমৃদ্ধি ফিরে আসে, কমে নানাবিধে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা।

প্রসঙ্গত, অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার সিদ্ধান্ত নিলে যে যে উপকারগুলি পেতে পারেন, সেগুলি হল…
১. স্ট্রেস একেবারে কমে যাবে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অফিস থেকে ফিরে কিছুটা সময় মাছেদের সঙ্গে কাটালে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি লেভেল একেবারে কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আসলে নীল জলে মাছেদের খেলা করতে দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করে।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে: বেশ কিছু গবেষণায় এমনটা দেখা গেছে বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে সেই পরিবারের সদস্যদের ব্লাড প্রেসার লেভেল একেবারে নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসলে মাছেদের গতিবিধি দেখতে দেখতে কখন যে টেনশন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে, তা বোঝাও যায় না। আর একবার টেনশন নিয়ন্ত্রণে চলে এলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এও দেখা গেছে যে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও পরোক্ষভাবে অ্যাকোয়ারিয়াম সাহায্য করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা মাছ পোষা শুরু করতে পারেন কিন্তু!
৩. শারীরিক কষ্ট কমে যায়: একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে অসহ্য যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছে এমন মানুষদের অ্যাকোয়ারিয়ামের সামনে কিছুক্ষণ বাসিয়ে রাখলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে নানা রঙের মাছেদের খেলা করলে দেখলে মন এতটা ভাল হয়ে যায় যে যন্ত্রণার কথা খেয়ালই থাকে না। শুধু তাই নয়, যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে মাছেদের দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে। তার প্রভাবেই কষ্ট কমতে থাকে।
৪. পরিবারে সুখ সমৃদ্ধি ফিরে আসে: বাস্তু শাস্ত্র সম্পর্কিত একাধিক বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ভাগ্যও ফিরতে শুরু করে। ফলে সফলতা পেতে সময় লাগে না। এই কারণেই দেখবেন অনেক অফিসে এবং ব্য়াঙ্কে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার চল রয়েছে।
৫. নেগেটিভ এনার্জির কারণে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে: একথা তো মানেন যে আমাদের আশেপাশে থাকা প্রত্যেকটা মানুষই যে আমাদের ভাল চায়, এমন নয়। এমনও অনেকে আছেন যারা প্রতি মুহূর্তে মাদের ক্ষতি করার ফন্দি আঁটছে। এদের এই খারাপ ভাবনা থেকে বাঁচতে মাছ পোষা শুরু করতে পারেন। আসেল বাস্তু শাস্ত্র মতে এমনটা করলে নেগেটিভ এনার্জির মার থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
বাড়ির কোথায় অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা উচিত: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সামনের দিকে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে। বিশেষ করে বাড়ির প্রধান ফটকের বাঁদিকে যদি রাখতে পারেন, তাহলে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রসঙ্গত, ফেং সুই অনুসারে এমনটাও অনেকে মেনে থাকেন যে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখাটা শুভ।
কম করে কতগুলি মাছ রাখতে হবে অ্যাকোয়ারিয়ামে? ফিশ ট্যাঙ্কে কম করে ৯ টা গোল্ড ফিশ রাখতেই হবে, যাদের ৮ টার গায়ের রং হবে কমলা এবং একটার হবে কালো। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে শারীরিক সুফল তো পাবেনই, সেউ সঙ্গে বাস্তু সুফল পেতেও কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না।

Related Posts

Leave a Reply