দুই মহিলার প্রবেশে ভাঙলো সবরিমালার শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস
কলকাতা টাইমস :
সমস্ত বাধা বিপত্তি অগ্রাহ্য করে দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছেন দুই ঋতুমতী নারী। আর সেই সাথেই কয়েক যুগ ধরে চলে আসা প্রাচীন প্রথাও ভেঙে গেল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরের দিকে পাহাড়ে ঘেরা এই মন্দিরে প্রবেশ করেন বিন্দু ও কণকদুর্গা নামে ওই দুই মহিলা । তাদের বয়স ৪০ এর মতো। ভোর পৌণে চারটার দিকে পাম্পা বেস ক্যাম্প থেকে রওনা দিয়ে মন্দিরে পৌঁছান তারা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে পুলিশকে সাথে নিয়েই কালো পোশাক পরে দুই নারী মন্দিরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে ঋতুমতি মহিলাদের প্রবেশের ঘটনা সামনে আসতেই ‘শুদ্ধিকরণ’এর জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি জানান ‘এটা সত্য যে তারা মন্দিরে প্রবেশ করেছেন। যেসব মহিলারা মন্দিরে যেতে চান তাদের সুরক্ষা দিতে পুলিশকে বলা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী পর্যন্ত মহিলারা ঋতুমতী হওয়ার কারণে গত প্রায় ৫৩ বছর ধরে এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারতেন না। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানায় সব বয়সের মহিলারাই এই মন্দিরে ভগবান আয়াপ্পাকে পূজা দিতে পারবেন। যদিও শীর্ষ আদালতের রায়ের পরই এই মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে গত তিন মাসে বিভিন্ন সময়ে অশান্তি ছড়ায়।
আদালতের এই রায়কে রাজ্যের সিপিআইএম সরকার স্বাগত জানালেও বিজেপি ও হিন্দু সংগঠনগুলি বিরোধিতা করে। ঋতুমতি মহিলারা যাতে কোনওভাবেই সেখানে পৌঁছতে না পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য অনেকে চেষ্টা করে মন্দির রক্ষা কমিটির সদস্যরা ও হিন্দু সংগঠনগুলি। আর তা করতে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার কারণে আহতের ঘটনাও ঘটে। এর আগেও নানা প্রতিরোধ এড়িয়ে মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন কেরালার এই দুই বাসিন্দা বিন্দু ও কণকদুর্গা