ধর্ম শেখায় না তাই মসজিদে মাইক ব্যবহারে না কোর্টের
কলকাতা টাইমস :
‘কোনো ধর্মই এটা শেখায় না যে প্রার্থনা করার সময়ে মাইক ব্যবহার করতে হবে বা বাজনা বাজাতে হবে।’ এমন মত্ প্রকাশ করেই মসজিদে আজানের সময়ে মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আদালত। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল এবং ভিপিন চন্দ্র দীক্ষিতের ডিভিশন বেঞ্চ এ সংক্রান্ত একটি পিটিশনের রায়ে এমন কথা জানিয়েছে মঙ্গলবার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ বলেন, ‘কোনো ধর্মই এটা শেখায় না যে প্রার্থনা করার সময়ে মাইক ব্যবহার করতে হবে বা বাজনা বাজাতে হবে। আর যদি সেরকম কোনও ধর্মীয় আচার থেকেই থাকে, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যাতে অন্যদের তাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয়।’
উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার বাদ্দোপুর গ্রামে অবস্থিত দুটি মসজিদে আজানের সময়ে মাইক ব্যবহারের অনুমতি নবায়নের জন্য এই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন মাইক ব্যবহারের অনুমতিকে নবায়ন করতে চায়নি। তার বিরুদ্ধেই এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।
কিন্তু শব্দ দূষণরোধ আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নানা রায় তুলে ধরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছেন, ‘ভারতীয় সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির নিজের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে ঠিকই কিন্তু সেই ধর্মপালনের কারণে অন্য কারো অসুবিধা তৈরির অধিকার কারো নেই।’
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘এই আদালত মনে করে অখন্ড রামায়ণ, কীর্তন প্রভৃতির সময়ে মাইক ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন শব্দ দূষণ হয়, তেমনই অনেক মানুষের অসুবিধাও হয়।’ এলাহাবাদ হাইকোর্টেরই বিশ বছর আগের একটি রায়কে উদ্ধৃত করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
পুরোনো সেই রায়ে বলা হয়েছিল, ‘অখন্ড রামায়ণ, আজান, কীর্তন, কাওয়ালি বা অন্য যে কোনো অনুষ্ঠান, বিয়ে প্রভৃতির সময়ে মাইক ব্যবহার করার কারণে অনেক মানুষের অসুবিধাও হয়। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে যাতে মাইক ব্যবহার না করা হয়।’