হলফ করে বলতে পারি কান্নার ৯ কাহন আপনার আজও অজানা
কলকাতা টাইমস :
চোখের জলের হয় না কোনো রঙ, তবু কত রঙের ছবি আছে আঁকা। কখনো ভেবে দেখেছেন, সিনেমা হলে একটা চূড়ান্ত রোম্যান্টিক ছবি দেখতে দেখতেও চোখের কোণ কেন ভিজে যায়। পথে চলতে চলতে চোখে একটা কিছু পড়ল, সঙ্গে সঙ্গে জল চলে এল। দেখতে একই রকম হলেও দু’টি দু’রকমের কান্না এবং এর কাজও দু’রকমের। আসুন দেখে নেয়া যাক কান্নার ৯ কাহন, যা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না।
১. পরিবেশের পার্থক্যে শিশুদের কান্নার ধরনও পাল্টে যায়!
২. একজন ডাচ গবেষক সমীক্ষা করে দেখেছেন, পাশ্চাত্য দেশগুলো, যেখানে মহিলারা সমাজের উঁচু তলায় বাস করেন এবং যাদের মানবাধিকার তৃতীয় বিশ্বের দেশে বসবাসকারী মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি, তারা কাঁদেনও বেশি।
৩. কান্না তিন রকমের হয় :
বেসাল টিয়ার, যেটা আপনার চোখকে পরিষ্কার রাখে এবং চোখের লুব্রিকেশনের মাত্রা ঠিক রাখে।
রিফ্লেক্স টিয়ার : পেঁয়াজ কাটার সময় বা চোখে কিছু একটা হঠাৎ ঢুকলে এই কান্না বের হয়।
ইমোশনাল টিয়ার : ভালো লাগা খারাপ লাগা প্রভৃতি সময়ে হয়।
৪. গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু মানুষ স্বাভাবিক কারণেই অন্যদের তুলনায় বেশি কাঁদেন।
৫. অনেক সময় স্নায়বিক কারণে কান্না বা হাসি থামতে চায় না। যদি এমনটা হয়, তবে দেরি না করে চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এটা স্ট্রোক, অ্যালঝাইমার্স, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস-এর লক্ষণ হতে পারে।
৬. বিষন্ন মহিলাদের চোখের জলে এমন এক রকমের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা পুরুষদের উত্তেজনায় বাধার সৃষ্টি করে। গবেষণাটি সায়েন্স জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
৭. কান্নার তিনটি লেয়ার বা স্তর থাকে : লিপিড লেয়ার, অ্যাকিউয়াস লেয়ার এবং মিউকাস লেয়ার।
৮. মুখের লালা যে কম্পোজিশনে তৈরি হয়, সেই একই কম্পোজিশনে চোখের জলও তৈরি হয়। অর্থাৎ এই দুয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
৯. কাঁদলে স্ট্রেস হরমোন শরীর থেকে বেরিয়ে যায় এবং এন্ডরফিন বা যেটাকে ‘ফিল গুড’ হরমোন বলা হয় তা শরীরে নির্গত হয়। এ জন্যই বোধ হয় বলে, কাঁদলে মন হাল্কা হয়।