আড়াই দশকের বাম জামানার অবসান, ত্রিপুরায়ব চমক বিজেপির
নিউজ ডেস্কঃ
নরেন্দ্র মোদীর ‘চলো পাল্টাই’-এর ডাকে সাড়া দিলেন ত্রিপুরাবাসী। আর তাতেই ২৫ বছরের বাম সাম্রাজ্য ভেঙে চুরমার। গেরুয়া ঝড়ে লন্ডভন্ড সিপিএমের দুর্গ। ৪১টির কাছাকাছি আসন পাওয়ার পথে বিজেপি। সিপিএম থামতে পারে ১৮টি আসনে।
২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১.৫ শতাংশ ভোট। সেখান থেকে ৫ বছরের ব্যবধানেই তারা পেল ৪০.৫% ভোট। শরিক আইপিএফটি পেয়েছে ৮.৩ শতাংশ ভোট। রাজনৈতিক মহলের মতে, শূন্য আসন থেকে বিজেপির ত্রিপুরা জয় এককথায় বেনজির। এমন ফলাফলের পর মোদী ম্যাজিক শেষ হয়ে গিয়েছে, তা আর বলা যাবে না। বরং উত্তর-পূর্বে আরও জাঁকিয়ে বসল বিজেপির। এককালের গোবলয়ের দল আজ সর্বঅর্থেই সর্বভারতীয় হয়ে উঠল।
ত্রিপুরা জয়ের পরই বিজেপি নেতা রাম মাধব বলেন, ”ত্রিপুরাসুন্দরী মায়ের আশিস পেলাম। ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ। নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে এই জয়।”
ত্রিপুরার পাশাপাশি ভোট গণনা চলছে উত্তরপূর্ব ভারতের আরও দুই রাজ্য নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এই দুই রাজ্যে ভোট গ্রহণ হয়। দুই রাজ্যেই ৬০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ৫৯ আসনে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ধনপুর কেন্দ্রে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বিজেপি প্রার্থীর চেয়ে সামান্য কিছু ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
নাগাল্যান্ডে রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও’এর নেতৃত্বাধীন ন্যাাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রগেসিভ পার্টি (এনডিপিপি) ও বিজেপি জোট ২৫ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। রাজ্যটির শাসক দল নাগাল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ) এগিয়ে রয়েছে ২২ আসনে।
কংগ্রেস শাসিত মেঘালয়ে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১৫ টি আসনে। পি.এ.সাংমা’র দল ন্যাশনাল পিপল’স পার্টি (এনপিপি) ৬ এবং বিজেপি ২ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আজ বিকালের মধ্যেই তিনটি রাজ্যেই ভোটের ফলাফলের ছবিটা পরিস্কার হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।