অপছন্দের মেয়েকে বিক্রি করে ছেলের জন্য গয়না কিনলেন বাবা
কলকাতা টাইমস :
যমজের মধ্যে ছেলেটিকে মনে ধরলেও মেয়েটিকে দেখে বিতৃষ্ণায় মুখ বেঁকে যায় রাজের। তাই মেয়েটির বদলে টাকা, সোনার চেনকেই বেঁচে নেয় সে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলির। এখানকার বাসিন্দা ইয়েসুইরুদ্ধ রাজের যমজ সন্তান হয়েছিল। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। কিন্তু, তাতে খুশি ছিলেন না। তাই কন্যা শিশুটিকে বিক্রি করে দেন তিনি। এরপর ওই টাকা দিয়ে নিজের জন্য নতুন মোবাইল ও ছেলের জন্য সোনার চেইন কেনেন।
জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর তিরুনেলভেলির এক সরকারি হাসপাতালে ইয়েসুইরুদ্ধ রাজের স্ত্রী পুষ্পলতা যমজ সন্তানের জন্ম দেন। কয়েকদিন হাসপাতালে কাটিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে তারা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ইয়েসুইরুদ্ধ রাজের মাথায় ছিল অন্য পরিকল্পনা। গত সপ্তাহে তারা ফের হাসপাতালে যান রুটিন চেকআপের জন্য। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা দেখেন, ছেলেকে নিয়ে আসা হয়েছে, মেয়েটি তাদের সঙ্গে নেই। তারা ইয়েসুইরুদ্ধ রাজ এবং পুষ্পলতাকে জিজ্ঞেস করেন, শিশুকন্যাটি কোথায়? পুষ্পলতা জানান, মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছেন ইয়েসুইরুদ্ধ রাজ। এরপর সেখানেই ঝগড়া শুরু হয়ে যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে।
ইয়েসুইরুদ্ধ রাজের দাবি, শিশু কন্যা বিক্রির বিষয়ে স্ত্রী পুষ্পলতা সব জানেন। পুষ্পলতা দাবি করেন, তাকে না জানিয়েই মেয়েকে বিক্রি করেছেন ইয়েসুইরুদ্ধ রাজ। এমনকি সেই টাকায় মোবাইল, সোনার চেইন কেনা ছাড়াও বন্ধক রাখা একটি বাইক ও সাইকেল ছাড়ানো হয়েছে। সবই হয়েছে পুষ্পলতাকে না জানিয়ে।
শিশু বিক্রির খবর সামনে আসতেই হাসপাতাল থেকে খবর যায় থানায়। পুলিশ হাসপাতালে এসে জেরা করে ইয়েসুইরুদ্ধ রাজকে। তখনই সব তথ্য বেরিয়ে আসে। ইয়েসুইরুদ্ধ রাজ জানান, কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে তিনি এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর ৮০ হাজার পেয়েছেন তিন দালাল সেলভাম, নেল্লাইয়াপ্পার ও কান্নান। তিরুনেলভেলির এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করা হয় কন্যা সন্তানটিকে।
ইয়েসুইরুদ্ধ রাজ এবং তিন দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে যিনি শিশু কন্যাটি কিনেছিলেন তাকেও। শিশু কন্যাটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তাই তাকে উদ্ধার করে এখন একটি সংস্থার কাছে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।