মেয়েকে তিন টুকরো করে বিয়ে আটকালেন বাবা!
কলকাতা টাইমস :
তিন টুকরোতে বিভক্ত তরুণীর দেহ। এমন পৈশাচিক হত্যা খুব ঘৃণা না করলে কেউ করতে পারে না এমনই ধারণা ছিল পুলিশের। কিন্তু হত্যাকারীর পরিচয় জানার পর পুলিশের সেই ধারণা যেন এক মুহূর্তে পাল্টে গেল। কেননা হত্যাকারী যে স্বয়ং পিত। মা-বাবার কাছে সন্তানই পৃথিবীর সবথেকে ভালোবাসার। তিনিই কিনা এভাবে নিজের মেয়েকে নৃশংস ভাবে হত্যা করতে পারে তা যেন কল্পনারও অতীত।
এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের থানে শহর থেকে ৪৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি ওই তরুণীর বাবা। সম্প্রতি মেয়েটি এক সহকর্মীকে বিয়ে করার কথা জানায় তার বাবাকে। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর সহকর্মী ভিন্ন গোত্রের। সেই বিয়েই মেনে নিতে না পেরে তরুণীকে নিজের হাতে খুন করেন বাবা ।
অভিযুক্ত অরবিন্দ তিওয়ারি তার মেয়ে প্রিন্সিকে হত্যার পর তিন টুকরো করে স্যুটকেসে রাখেন। পরে শনিবার রাতে একটি অটোরিক্সায় করে পালিয়ে যান। পরদিন ভোরে ওই স্যুটকেস উদ্ধার করে পুলিশ।
৩০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সোমবার অরবিন্দ তিওয়ারিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। রোববার ভোরে কল্যাণ রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে একটি অটোর ভেতর থেকে ওই স্যুটকেসটি উদ্ধার করা হয়। সেখানকার অটোচালকরাই স্যুটকেসের ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। এতে দেখা যায়, ওই একই ধরনের স্যুটকেস নিয়ে ট্রেনে উঠছেন দু’জন ব্যক্তি। তবে এর মধ্যে লাল শার্ট পরা এক ব্যক্তি স্টেশনের কাছে একটি শৌচালয়ে ঢুকলেও সেখান থেকে বের হন সাদা শার্ট পরে। তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা যায়, লাল শার্ট পরা অবস্থায় একটি অটোতে উঠছিলেন ওই ব্যক্তি। ফুটেজে ওই ব্যক্তির চেহারা দেখেই পুলিশের কাছে ধরা পড়েন অরবিন্দ।