আইন শৃঙ্খলার অবনতির চূড়ান্ত প্রতিচ্ছবি আজকের যাদবপুর ইউনিভার্সিটি
কলকাতা টাইমস :
প্রায় ৫ ঘন্টা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং এক ঘণ্টা রাজ্যপাল আটকে থাকার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেহাই পেলেন। শেষ পর্যন্ত বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে রাজ্যপালের কনভয় নিরাপদে বের হল । কার্যত বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের চোখে ধুলো দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় ৪ নম্বর গেট দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে আটকে পড়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে ছাড়াতে ক্যাম্পাসে যান আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বাবুলের হাত ধরে গাড়িতে তোলেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপালের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, ক্ষমা চাইতে হবে বাবুল সুপ্রিয়কে। ছাত্রছাত্রীদের একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজভবনে এসে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তাবও বিক্ষোভকারীদের দেয় পুলিস। ঘণ্টাখানেক আটকে থাকার পরও ছাত্রছাত্রীরা পুলিসের আবেদনে সাড়া দেয়নি। এরপর কার্যত তাঁদের চোখে ধুলো দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় বের করা হয়। চার নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে যান আচার্য জগদীপ ধনখড় ও বাবুল সুপ্রিয়।
জানিয়ে রাখি এবিভিপির এক সেমিনারে যোগ দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাকে দেখা মাত্র কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। সেখানে তাকে দৈহিক নির্যাতন করা হয়। চড় মারা হয়, জামা ছেড়া হল, ধাক্কা মারা হল। শুধু তাকে ৫ ঘন্টা আটকে রাখা হল। শেষে তাকেই উদ্ধার করতে আসতে হল আচার্য রাজ্যপালকে। তাকেও রেহাই দিল না উৎশৃঙ্খল ছাত্র-ছাত্রীরা।
তিন নম্বর গেট দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় বেরানোর কথা ছিল। কিন্তু কনভয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। ঘণ্টাখানেক ধরে আটকে থাকে রাজ্যপালের কনভয়। সামনে বিক্ষোভকারীরা থাকলেও গাড়িটির পিছনে ছিল রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিসবাহিনী। ফলে রাজ্যপালের গাড়িটি চকিতে ঘুরিয়ে চার নম্বর গেট দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।