পাকিস্তানের রাস্তায় স্টিয়ারিং ধরা প্রথম ‘স্বাধীন’ মহিলা জাহিদা
কলকাতা টাইমস :
পাকিস্তান, যে দেশে মহিলা মানেই পর্দার আড়ালে সংসারের ঘানি টানা একজন মানুষ। মানুষ বলাটা বোধয় ভুল। কারণ যে দেশে তাদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার নেই তাদের কি মানুষ বলা যায় ! সেই দেশেই এক মহিলা হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে ট্যাক্সি চালানো ! বিশ্বাস হওয়াটাই মুশকিল। কিন্তু এই মুশকিলকেই সত্যি করে দেখিয়েছেন জাহিদা।
জাহিদ পাকিস্তানের প্রথম মহিলা ট্যাক্সি চালক। গত ২৬ বছর ধরে সমান দক্ষতায় ট্যাক্সি চালিয়ে আসছেন পাকিস্তানের পথে। জানান, ‘আমি যদি একজন নারী হিসেবেই ঘর থেকে বের হতাম তাহলে কিছুই করতে পারতাম না। পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগীতা করার জন্য আমাকে পুরুষদের মতোই দক্ষতা অর্জন করতে হয়েছে’, বলছিলেন পাকিস্তানের প্রথম নারী ট্যাক্সি ড্রাইভার।
১৯৯২ সালে জাহিদা পাকিস্তানের প্রথম নারী ট্যাক্সি চালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। যার মধ্যদিয়ে তিনি একজন কিংবদন্তীতে পরিণত হন।স্বামীর মৃত্যুতে দুইবার বিধবা হওয়া জাহিদা একজন স্বাধীনচেতা, সাহসী ও রাস্তার জ্ঞানী ও দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছেন।
কিন্তু এখন এই ৫৬ বছর বয়সেও ৭ বছরের একটি মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে তাকে রাওয়ালপিন্ডির ধুলোমাখা রাস্তায় সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
জাহিদা বলেন, ‘আমার জীবনটা একটা বড় সংগ্রাম। পাকিস্তানে মহিলা হয়ে জন্মগ্রহণ করাটাই যেন একটা পাপ। আর পুরুষ হয়ে জন্মানোটা সৌভাগ্যের। একজন নারী যত কঠোর পরিশ্রমই করুক না কেন লোকে বলবে এটা নারীর শ্রম। পুরুষের সমান মূল্যায়ন করা হবে না তার কাজের।’