‘দ্য গ্রেট ফ্লাড অফ ৯৯’ -এর স্মৃতি উস্কে দিয়ে কেরলের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩২৪!

কলকাতা টাইমসঃ
যে দিকেই চোখ যায়, শুধু জল আর জল। তার মধ্যেই কোথাও মাথা উঁচু করে রয়েছে কিছু বাড়ি আর গাছপালা। বন্যা বিধ্বস্ত কেরালার ছবিটা এখন এ রকমই। গত ৭ দিনের প্রবল বৃষ্টিতে রাজ্যের বেশির ভাগ অংশই প্রায় জলের নিচে ডুবে রয়েছে। বন্যার কাছে হার মেনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ৩২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর কয়েকদিন এই ভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো সঙ্কটজনক হয়ে উঠবে। কেরালার এই বন্যা তাদের পুরোনো ভয়াল স্মৃতিকে উসকে দিয়েছে রাজ্যবাসীর মনে। সেই বছর রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
টানা তিন সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি চলে। মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩,৩৬৮ মিলিমিটার। সরকারি তথ্য না মিললেও বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা গেছে, সেই বন্যায় প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যা কেরালার ইতিহাসে ‘দ্য গ্রেট ফ্লাড অব ’৯৯’ নামে চিহ্নিত হয়ে আছে। কেরালার বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এদিকে শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রাজ্যের ১৪টি জেলার মধ্যে ১৩টিতেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইদুকি জেলার। তবে পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা উন্নত হয়েছে আলাপুঝা, এর্নাকুলাম, ত্রিশূর এবং পথনমথিত্তায়। জল কিছুটা নেমেছে এই সব এলাকায়। ত্রিশূর ও চালাকুড়ি শহরের বেশির ভাগটাই জলের নিচে চলে গেছে। যে সব জায়গায় ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে, নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় সেখানেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। উদ্ধারকাজের জন্য ২০০ নৌকা নামিয়েছে সেনাবাহিনী। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরাও দিনরাত এক করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।