মনরোর গোপন টেলিগ্রামে লেখা গোপন কথাটি
লিজ স্মিথ জানিয়েছেন, মেরিলিন মনরো নাকি গ্রেস কেলিকে বিয়ের রাতে একটি অভিনব টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন। যাতে লেখা ছিল, ‘তুমি যে এই লাইন ছেড়ে দেওয়ার অন্য একটা রাস্তা খুঁজে পেয়েছো তাতে আমি খুশি।’
গ্রিক জাহাজ ব্যবসায়ী অ্যারিস্টটল ওনাসিস একটা সময় তার ব্যবসার ঘাঁটি গেড়েছিলেন মোনাকোতে। তার মনে হয়েছিল মোনাকোর রাজাদের মার্কিন দেশের নামী এবং দামি নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা উচিত। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রিন্স রেইনারের রয়্যাল অ্যাডভাইসরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বলেন যুবরাজের উচিত হলিউডের প্রখ্যাত নামী অভিনেত্রীর সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হওয়া। তিনি এটাও জানান, এ ব্যাপারে তার পছন্দ মতো হলেন মেরিলিন মনরো। কিন্তু রাজ পরিবার জানিয়ে দেয়, মেরিলিনের পাবলিক ইমেজ ততোটা স্বচ্চ নয়। কিছুদিন পরেই রেইনারের সঙ্গে দেখা হল গ্রেস কেলির। সেটা ১৯৫৫ সাল। গ্রেস কেলি তখন অ্যালফ্রেড হিচককের ‘টু ক্যাচ আ থিফ’ ছবিতে অভিনয় করছেন। শেষ পর্যন্ত এই ছবির শুটিংয়ের পরেই গ্রেস কেলি বিয়ে করলেন মোনাকোর রাজপুত্র রেইনারকে। সেটা ১৯৫৬ সাল। এর পরেই কেলি অভিনয় জীবনের ইতি টানেন। ২০১৪ সালে রেইনার এবং কেলির পুত্র প্রিন্স অ্যালবার্ট জানান বিয়ের পরে তার মা কোন দিনই হলিউড ছেড়ে দেওয়ার জন্য আক্ষেপ করেননি। যদিও মেরিলিন মনরোকে কোন দিনই মোনাকোর রাজবাড়ির অন্দরমহলে ঢুকতে দেখা যায়নি, তবে প্রিন্স অ্যালবার্ট জানিয়েছেন মাঝে মধ্যেই ক্যারি গ্রান্ট আসতেন তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। এসেই দুনিয়ার যত নোংরা জোকস শুনিয়ে যেতেন তার মা এবং পরিবারের লোকজনকে।