বিভীষিকা এই পোকা বাসা বাঁধে অন্তর্বাসে, কামড়ে দিলেই মৃত্যু!
কলকাতা টাইমস :
ডেঙ্গুর পাশাপাশি পোকাবাহিত এক রোগ বি’ভী’ষি’কা হয়ে উঠেছে। রো’গের নাম স্ক্র্যাব টাইফাস। অন্তর্বাসের ভাঁজেই বাসা বাঁধছে বি’প’দ। বি’প’ন্ন করছে জীবন। তাই জ্ব’র হলেই গো’প’না’ঙ্গ পরীক্ষার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে, দক্ষিণ ভারতে এরইমধ্যে সরকারিভাবে এ রোগে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে দুই জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা অনেক বেশি। কারণ, ‘অজানা জ্বর’এ যে মৃ’ত্যুর খবর মিলছে, তার সিংহভাগ এই স্ক্র্যাব টাইফাসের কা’ম’ড়েই ঘটছে।
সেখানকার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলতি সময়েই ১৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের সবার মধ্যে কিছু ‘কমন’ উ’পস’র্গ দেখা গেছে। প্র’ব’ল জ্ব’র, গায়ে ব্য’থা এবং গো’প’না’ঙ্গে সিগারেটের ফোসকার মতো দাগ।
কারণ, স্ক্র্যাব টাইফাসের জন্য দায়ী ‘ট্রম্বিকুলিড মাইট’ মূলত ধানখেত ও ঝোপঝাড়ের মধ্যে থাকে। ইঁদুর, কুকুর, বিড়াল ও গবাদি পশুর শরীরে সাধারণত বাসা বাঁধে। এদের কোনো স’ম’স্যা হয় না। কিন্তু মানুষের শরীরে দংশন করলেই বি’প’দ। প্র’ব’ল জ্ব’র আসবে। যেখানে দংশন করছে পোকা, সেখানে ফোসকা পড়ে যাবে।
দংশনের ১০ থেকে ১৪ দিনের মাথায় জ্ব’র দেখা যায়। সময়মতো চিকিৎসা না হলে দেহের একাধিক অ’ঙ্গ বি’ক’ল হয়ে মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে রোগী।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস জানান, অনেকেই স্ক্র্যাব টাইফাসে আ’ক্রা’ন্ত হওয়াটাকে টাইফয়েড ভেবে ভুল করছেন। অনেক সময় ভুল চিকিৎসা হচ্ছে। র’ক্তপরীক্ষায় কিছু ধ’রাও পড়ছে না। ফলে, স’ম’স্যা হচ্ছে। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁ’ধ’লেও লিভার ও প্লীহা বড় হয়ে যায়। তখন র’ক্ত পরীক্ষা করালে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এই পোকার উপর তেমন গবেষণা হয়নি। দেখা যাচ্ছে, কুঁচকি, বগল ও কোমরের ভাঁজেই এই পোকা বেশি করে কা’ম’ড়ায়। শরীরের একেবারে গো’প’ন জায়গায় কামড়ায় বলে অনেক সময়ই দেরিতে ধরা পড়ে। জ্ব’র এলে তাই দ্রুত গো’পনা’ঙ্গ ও তার আশপাশ পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।